শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আ’লীগ অফিস বিক্রির খবর নিয়ে মদনগঞ্জ থেকে মদনপুর পর্যন্ত সরগরম

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

# মনা সরদারের এ কাজ অত্যন্ত গর্হিত ও ঘৃণিত

 

গতকাল ২২ মে  রোববার) ‘যুগের চিন্তা’র মূল শিরোনামটি ‘৫০ লাখ টাকায় আওয়ামীলীগ অফিস বিক্রি’ শহরে টক্ অব দ্য টাউন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মদনসঞ্জ থেকে মদনপুর পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা  এ সংবাদে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। এ কারণে গতকাল প্রায় সারাদিনই ব্যস্ত থেকেছে যুগের চিন্তা অফিসের টেলিফোনটি।

 

ওদিকে গতকাল সকালে এ সংবাদ নিয়ে ‘বোস কেবিন’ এর চায়ের টেবিলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তোলেন আওয়ামী লীগ ও বামদল নেতৃবৃন্দ। তারা আওয়ামীলীগ অফিস বিক্রির পেছনেরর প্রধান ব্যাক্তি ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আইভীর মামা মনোয়ার হোসেন মনা সরদারের এ কাজের ব্যাপক নিন্দা করেন। কেউ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে মনা সরদারের এ কাজ অত্যন্ত গর্হিত ও ঘৃণ্য।

 

টাকার জন্য তার অফিস বিক্রির কোন প্রয়োজন ছিল না। কারণ,  এ অফিসের লাগোয়া ছয়টি থান কাপড়ের দোকান রয়েছে, য়েখান থেকে মনা সরদার প্রতি মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা ভাড়া পেতেন। তাছাড়া অফিসের সামনের পুরি ও পান-সিগারেটের দোকান থেকেও তিনি প্রতিদিন কয়েকশ’ করে টাকা পেতেন।

 

একজন বাম নেতা বলেন, এরসাদ রিরোধী আন্দোলনকালে এ অফিসটি সম্মিলিত বিরোধী দলের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিগত শতকের ৯৬’ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ১৫ আগষ্টেই এ অফিস প্রাঙ্গন থেকে শহরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসের খিচুড়ি বিতরণ হতো।


আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা জানান, স্বাধীনতার পর রেলের কাছ থেকে জায়গা বন্দোবস্ত এনে এ অফিসটি নির্মান করে দেওভোগ ইউনিয়ন আঃলীগ নেতৃবৃন্দ। সে সময় দেওভোগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারী ছিলেন যথাকমে মনিয়ম সরদার ও আলমচান মুন্সী। তবে আলমচান মুন্সীর নামে অফিনের জায়গা বন্দোবস্ত আনা হয়নি।

 

বন্দোবস্ত আনা হয়েছিল মনিয়ম সরদার ও মহিউদ্দিন আহমেদের নামে। পরবর্তিতে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও শহরের বিত্তবান ব্যবসায়ীদের টাকায় অফিস ভবনটি নির্মান করা হয়েছিল।
 

এই বিভাগের আরো খবর