শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আলো ছড়াচ্ছে দীপ বেকায়দায় অন্যরা

এফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

# প্রতিযোগিতা বেড়েছে আওয়ামীলীগে

 

 

নির্বাচনী বছর আসলেই সোনারগাঁয়ের প্রতিযোগীমূলক রাজনীতি লোপ পায়। আর এই প্রতিযোগীমূলক রাজনীতিতে স্বচ্ছ রাজনীতি বজায় রাখতে না পেরে গ্রুপিং কোন্দেলে জড়িয়ে পড়ে সোনারগাঁয়ের নেতারা। এতে করে নির্বাচনের আগেই সোনারগাঁয়ে রাজনীতি কয়েকভাগে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে গ্রুপিং কোন্দলের রাজনীতিকে প্রকট আকারে রূপ দেয়। আর এই দ্বিধা বিভক্ত গ্রুপিং কোন্দলের রাজনীতির কারণে বিভিন্ন বিতর্কিক কর্মকান্ড ঘটিয়ে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের অনেক নেতারাই দ্বাদশ নির্বাচনের আগে দলের আস্থা হারিয়ে স্থবির হয়ে আছে।

 

তবে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে পর্দাপন করা পর থেকে স্বচ্ছ রাজনীতির মাধ্যমে একের এক উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে সোনারগাঁয়ের তরুণ উদীয়মান নেতা এরফান হোসেন দীপ। কারণ নির্বাচনী বছরে সোনারগাঁয়ের কোন নেতাই আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নায়মূলক কর্মকান্ড নিয়ে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারেনি। যার জন্য সোনারগাঁয়ের অগ্রভাগের নেতারাই ব্যাকফুটে রয়েছে।সূত্র বলছে, নির্বাচনী বছর আসলেই সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। হুমড়ি খেয়ে পড়ে একঝাঁক নেতা যাদের নির্বাচনী বছর ছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ তথা সোনারগাঁয়ের সাধারণ জনগণের সাথেও তাদের দেখা যায় না।

 

তবে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁয়ের সাবেক সাংসদ থেকে শুরু করে সোনারগাঁয়ের অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও নির্বাচনী বছরে এসে নীরব। কারণ তারা বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে দল আস্থা হাড়িয়ে এখন লবিং তদবীরের মাধ্যমে দলে আস্থা ফেরাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এতে করে সারাবছর সোনারগাঁয়ে হাঁকডাঁক তোলা নেতারা নির্বাচনী প্রচারণার বছরে এসেও আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নায়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারছে না। তবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মোবারক হোসেনের পুত্র এরফান হোসেন দীপ সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ডগুলোতে গণসংযোগ করে বাংলাদেশ আওয়ামীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নায়নমূলক বার্তা নিয়ে সাধারণ জনগণকে অবগত করছেন।

 

কারণ নির্বাচনী বছরে এরফান হোসেন দীপই প্রথম সোনারগাঁয়ের সাধারণ জনগণের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নায়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন। এছাড়া ধাপে ধাপে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতে গণসংযোগ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পিছনে প্রধানমন্ত্রীর অবদান সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবগত করে যাচ্ছেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে ১৫-২০জন নেতা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কাউকেই আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নায়নের বার্তা নিয়ে সাধারণ জনগণের দ্বারপ্রান্তে যেতে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সোনারগাঁ রাজনীতিতে সারাবছরই নানা রকম কর্মকান্ড নিয়ে হাঁডাক তোলা সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের অভিভাবক হিসেবে নিজেদেরকে জাহির করা নেতারাও পিছিয়ে আছে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের উন্নায়নকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

 

কারণ তারাই ইতিমধ্যে নানা রকম বিতর্কিত কর্মকান্ড ঘটিয়ে দলে আস্থা হারিয়ে বসে আছে। এরমধ্যে অন্যতম হল সোনারগাঁয়ের সাবেক সাংসদ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার। কারণ একাদশ সংসগদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে। তবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেও নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে নির্বাচন থেকে সরে যায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মত সংসদ হতে ব্যর্থ হয়ে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী রাজনীতি থেকে গাঁ ডাকা দিয়ে আড়ালে চলে যান। এরপর স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারাও তার রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি অতিষ্ঠ হয়ে তার বলয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যার কারণে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটিতে তাকে স্থান পেতে ব্যর্থ হয়।

 

পরবর্তীতে বহু চড়াই উৎড়াইয়ের পর সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে স্থান পান। পরবর্তীতে সম্মেলনের মাধ্যমে থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও থানা আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিতে এখন ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ প্রায় সময়ই দেখা যাচ্ছে থানা আওয়ামীলীগের বিশৃঙ্খলা তাকে কর্মীরা কোন রকম তোয়াক্কা না করেই সংঘর্ষ লিপ্ত হচ্ছে। একাদশ নির্বাচন থেকে দলে আস্থা হারিয়ে এখন নেতৃত্বে বিকাশে বিতর্কিত হয়ে টালমাটাল অবস্থা সাবেক সাংসদ কায়সারের। যার কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বছরের কাছাকাছি সময় এসেও দলের উন্নায়নের বার্তা নিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারছে না কায়সার। এছাড়া সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে দল থেকে শোকজ হোন।

 

এছাড়া সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গ্রুপিং সৃষ্টসহ নানা রকম বিতর্কিত কান্ড ঘটিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথেও এখন সম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার কারণে এখনো আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কালামের মধ্যে নির্বাচনের কোন প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে সোনারগাঁয়ের উত্তরঞ্চল থেকে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে মুঠোবন্ধী করতে মড়িয়া হয়ে থাকা ড. আবু জাফর বিরুও সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকম কর্মকান্ড ঘটিয়ে বিতর্কিত হয়ে আছে। কারণ একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সোনারগাঁয়ের আওয়ামী রাজনীতিতে বিভেদ সৃষ্টি কারণে তাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের নেতারাও নানা সময়ে সমালোচনা করেছে। এছাড়া তার পারিবারিক ইতিহাস নিয়েও নানা রকম বিতর্ক রয়েছে। যার কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ড. আবু জাফর বিরুর বহু হাঁকডাঁক দেখালেও দ্বাদশ নির্বাচনে এসে বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে খসে পড়েছেন।

 

এতে করে এখনো আগামী সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী সরকারের বার্তা নিয়ে জনগণের দ্বারপ্রান্তে যেতে পারছে না। এতে প্রতিয়মান হচ্ছে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাকফুটে রয়েছে। এদিকে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে পর্দাপন করেই একের পর এক উত্তাপ ছড়িয়ে যাচ্ছে এরফান হোসেন দীপ।

এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর