বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

‘আশ্চর্যজনকভাবে’ বাড়ছে চিনির দাম, দিশেহারা সাধারন মানুষ

নুরুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

গত এক মাসে “আশ্চর্যজনকভাবে” বেড়েছে চিনির দাম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে আটা, ময়দাসহ বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। গত বছরটি ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে মূল্য বৃদ্ধির বছর। পেঁয়াজের দাম ডাবল সেন্সুরি হলেও এবার সহনিয় পর্যায়ে আছে এই মসল্লাটি। কিন্তু চিনি ও তেলের উর্ধ্বমূখী দামে দিশেহারা হয়ে পরেছে সাধারন মানুষ। সরকার চিনির দাম নতুন করে প্রতিকেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছে না ব্যাবসায়ীরা। অপরদিকে পূর্বের বারতি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। গতকাল নগরীর বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।  



জানা গেছে, বাজারে বছরের অংশ জুড়ে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। তবে গত আগষ্টের শুরু থেকে চিনির দাম বাড়তে থাকে। বরিশালের করিম মিয়া পেশায় তিনি একজন চাকুরীজিবি তার সাথে কথা হয় নগরীর দ্বিগবাবুর বাজারে। তিনি জানান, সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা তা মানছে না। খোলা চিনিই ৭৮ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তেল চিনি আটা ময়দা সব কিছুর দাম বাড়তির দিকে।


 
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে জনজীবনে বাড়ছে অস্থিরতা। একটা পণ্যে বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আরেকটা। ইতি পূর্বেও ব্যবসায়ীরা চাল এর বাজার অস্তির করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন আর এসব পণ্যের দাম কমার কোন লক্ষন নেই। ফের চালের বাজার উৎতপ্ত করার পায়তারা করা হচ্ছে। ডাল, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল চিনি সহ অন্যান্যা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।  

 

গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে সপ্তাহের ছুটির দিন বলে ভিড় বেশী। আর এই দিনে বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহও বেশী থাকে। চাল, চিনি, আটা, ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রে বাজার সয়লাব। তবে দাম উর্ধ্বমুখি।এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মধ্যে ডিমের দামও অস্থির হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ডিমের হালিতে দুই টাকা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। গত সপ্তায় ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ৫টা কমে বিক্রি হচ্ছে।



শাক-সবব্জির মধ্যে রয়েছে আলু, পটল, বেগুন, বরবটি, কাকরল, কচুর গাটি, দারা, করল্লা, উস্তা, টমেটো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। শীত কালীন সবজি সীম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৫০, ঝিঙ্গা ৪০, কাঁচা পেঁপে ৩০, দেশী ধনিয়া পাতা ৬০, লাউ মাঝারী ৬০, শশা চিকন ৫০, ছোট লেবু প্রতি হালি ২৪, বড় সাইজ ৪০, চাল কুমড়া পিছ ৫০, করল্লা ৫০, বরবটি ৬০, বেগুন ৪০, পটল ৪০, পুঁইশাক ৩০, লালশাক ৩০, উত্তা ৬০ ঢেড়স ৪০ গাজর ৮০ মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

 

অন্যদিকে প্রতি কেজি কাঁচকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষ করা কৈ ২৫০ থেকে ৩০০, মাজারী সাইজের চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০, শিং ৫০০ থেকে ৬০০, পুঁটি ৩০০ থেকে ৩৫০, বড় সাইজের শোল ৬০০ থেকে ৭০০, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০, বোয়াল, ইলিশ, রুই, কাতলা সহ অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে পূর্বের চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। সহকারি পরিচালক নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সেলিমুজ্জামান জানানন, আজ থেকে নগরীরর বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাবো। জনবল কম থাকায় কার্যক্রমে ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আগে মাসে ১২টা মনিটরিং চালানো হতো। তবে আজ থেকে বাজার মনিটরিং বাড়িয়ে দেয়া হবে। অসংগতি পেলেই ব্যাবস্থা।  
 

এই বিভাগের আরো খবর