শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর ঘোষণা

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ফতুল্লার ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষার্থীদের বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। স্কুলের বেতন ও ভর্তি ফি পূর্বের তুলনায় ৫-৬ গুন কমিয়ে আনা হয়েছে। এই ঘোষণায় স্কুলের সকল শিক্ষার্থী  ও অভিভাবকের দাবি পূরণে তারা স্কুল কতৃপক্ষের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৮ টায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সভায় তাদের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেন।


 তিনি বলেন, স্কুলের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩০০ টাকা ও ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা ৪৫০ টাকা বেতন দিতো। কিন্তু এখন বেতন ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বেতন ৬০ টাকা এবং ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর বেতন ৭০ টাকা। একই সাথে ভর্তি ফি ২১শ থেকে ২৫শ টাকার পরিবর্তে ৩শ টাকা করা হয়েছে।  


সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের স্কুলে ১২শ ৭৪জন শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে। সস্কুলের উন্নয়নের জন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের থেকে পূর্বের বেতন ও ভর্তি ফি রাখা হতো। কিন্তু বেতন ও ভর্তি ফি কমিয়ে আনা হয়েছে।  


দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দাবি ছিল বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর। অভিভাবকরা আমাদের জানিয়েছেন, ইসদাইর ও আশেপাশে এলাকার শিক্ষার্থীরা যারা এই স্কুলে পড়েন তাদের বেশিরভাগ পরিবারই দরিদ্র। 


অনেকের একাধিক সন্তান হওয়ায় ভর্তি হতে হিমশিম খেতে হয়। প্রতি মাসে বেতন দিতে গিয়ে সংসারে টানাপোড়া লেগে যায়। তাই স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও সকল মেম্বার একসাথে বসে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 


তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে নেয়া ভর্তি ফি, বেতন ও স্থানীয় এমপি শামীম ওসমানের অনুদানে মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ল্যাব, উন্নত ওয়াশরুম সহ সকল ধরনের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধান হয়েছে, তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ চলছে।

 

বেতন ও ভর্তি ফি কমানো কারণে, শিক্ষার্থীদের মধ্য বাড়তি আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এই বেতন থেকে যারা এমপিও ভুক্ত ছাড়া শিক্ষক রয়েছেন তাদের বেতন দেয়া হবে। একই সাথে দারোয়ান ও বুয়াদের বেতন দেয়া হবে। 


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অনেকদিন যাবৎ এই দাবি ছিল। এখানে যারা পড়ে তারা বেশিরভাগই নিন্ম আয়ের পরিবারের সন্তান। অভিভাবকরা বিনা বেতনে পড়ানোর একটি আবেদন করেছিলেন। সভাপতির সিদ্ধান্তে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।


সভায় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল আহমেদ রবিন ও সোহানুর রহমান শুভ্র, ম্যানেজিং কমিটি সদস্য বাদল মিয়া, কবির হোসেন, ফয়সাল বিন মান্নান, গোলাম মোস্তফা, সাজেদা বেগম, শরিফা মজিদ ও প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রমুখ। 

এই বিভাগের আরো খবর