ঈদ আসলেই মায়ের মৃত্যুর স্মৃতিটা চোখে ভাসে : এড.আনিসুর রহমান দিপু
প্রকাশিত: ২ জুন ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করে। মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে পারার পবিত্র অনুভূতি ধারণ করেই পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুগের চিন্তা ২৪’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের অন্যতম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক চারবারের সভাপতি ও তিনবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু।
এবারের ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু জানান, প্রতিবারের মতো এবারের ঈদ পরিবারের সদস্যদের সাথেই উদযাপন করবো। বড়ভাইয়ের বাসায় সকলভাইবোন, পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটার পর্ব ইতিমধ্যেই তিনি শেষ করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই আসলে ঈদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন মসজিদে এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলদের জন্য কিছু করার তাগিদ প্রতিবারেই থাকে এবারও ছিলো। তা ইতিমধ্যে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারছি বিধায় এমনিতেই ভালো লাগছে।
অতীতের এক ঈদ প্রসঙ্গ টেনে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, এক ঈদে আমি নামায পড়ে এসে বাসায় সেমাই খাচ্ছিলাম। আমার মা আমাকে সেমাই দিয়ে আমার সামনে বসেছেন। হঠাৎ মা স্ট্রোক করে মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। এর কয়েকদিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে আমার মা মারা যান। এরপর থেকে ঈদ আসলেই আনন্দের দিনে মায়ের মৃত্যুপথযাত্রী হওয়ার দৃশ্যটা আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মাকে অনেক মিস করি, অনেক ভালোবাসি।
এবারের ঈদের বিশেষ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, ঈদের দিন পরিবারের সকলকে নিয়ে যখন ঈদ উদযাপন করি সেই তৃপ্তির সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয়না।সবসময়ই ব্যস্ততার মধ্যে থাকি বিধায় কাছের মানুষগুলোকে সেভাবে সময় দেয়া হয়না। এবারের ঈদে পরিবারকে সময় দেয়াটা ঈদের বিশেষ পরিকল্পনায় অবশ্যই রয়েছে।
ছোটবেলার ঈদ আর এখনকার ঈদ উদযাপনের মধ্যে পার্থক্য বিশাল বলে মনে করেন এই সিনিয়র আইনজীবী। তিনি বলেন, ছোটবেলাতেই তো আসল ঈদ উদযাপন করতাম। তখন নানা-নানী, দাদা-দাদী, চাচা-চাচীই শুধু নয় পুরো এলাকা ঈদ সালামী নিয়ে মাথায় তুলতাম। তখনকার সালামী আদায়টাই ছিলো ঈদের প্রধান মজা। ঈদ আসলেই হৈচৈ করে পুরো বাড়ি জমজমাট হয়ে উঠতো। তবে এখন সবারই ব্যস্ততা। একসাথে হলেও আগের মতো সেই জমজমাট ঈদ আয়োজনটাকে অনেক মিস করি।
ঈদের সারাটা দিন প্রচুর ব্যস্ততার মধ্যে কাটে বলে জানান অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু। তিনি বলেন, ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে ঈদগাহে নামায পড়তে যাই। সেখান থেকে ইসদাইরে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত বাসাতেই থাকি। সারাবছর ব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনা এমন প্রিয় মানুষদের বাসায় ঈদের দিন থেকে দাওয়াতে যাওয়া শুরু করি। নেতাকর্মীদের বাসায় যাই। ঈদের পরদিন সবসময় বন্দরে সিডিউল থাকে সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করি।
ঈদে মজার স্মৃতিচারণ করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বলেন, আমি যখন আইনপেশায় একেবারে নতুন হিসেবে প্র্যাকটিস করি। তখন এক ঈদে আমার বাবার জন্য মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে একটি পাঞ্জাবি কিনেছিলাম। আমার বাবা সাধারণত এরচেয়ে ঢেড় বেশি টাকার পাঞ্জাবি সবসময় পড়তেন। কিন্তু আমার সেই ৩০০ টাকার পাঞ্জাবিটা পড়েই আমার বাবা সেই ঈদে সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছিলেন এবং মানুষকে বলেছিলেন এটা আমার ছেলে আমাকে দিয়েছে। এঘটনার বহু বছর পর মাত্র কয়েক ঈদ আগে আমার ছেলে টিউশন করে আমার জন্য একটি পাঞ্জাবি কিনে নিয়ে আসে। আমিও ঠিক আমার বাবার মতোনই আমার ছেলের পাঞ্জাবিটা পড়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। এটার মধ্যে একটি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করেছে।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেন, ঈদ উদযাপন হওয়া উচিৎ সার্বজনীন। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া উচিৎ। কাছের মানুষ ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে সবার ঈদ শান্তিতে ও আনন্দময়তার মধ্য দিয়ে কাটুক সেই প্রত্যাশা করি। সবাইকে ঈদ মোবারক।
- রূপগঞ্জে উপজেলা যুবদলের ইফতার মাহফিল
- গরীব দুঃখী অসহায়, পথচারী রোজাদের মাঝে সোহাগ রনির ইফতার বিতরণ
- শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলো না.গঞ্জ
- স্বাধীনতা দিবসেও দেখা নেই জেলা বিএনপির
- হকার ইস্যুতে নীরব শামীম-আইভী
- পিচ্চি মাসুম ও ইয়াবা সুন্দরীর নেতৃত্বে জমজমাট মাদক কারবার
- মই দিয়ে আস্তানা পরিবর্তন
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা আ.লীগের শ্রদ্ধা নিবদন
- জেলা শ্রমিকলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার বিতরণ
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে : আনোয়ার হোসেন
- জামায়াত-শিবিরকে উঠিয়েছে ম্যাডাম খালেদা জিয়া : এড.খোকন সাহা
- স্বাধীনতার মুক্তির শপথ,বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা দেশ গড়ার প্রেরণা
- আড়াইহাজারে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা
- ‘মানবতার আলো ছড়াবে জাবালে নূর’
- এবার আন্ডারগ্রাউন্ডে দাউদ সোহেল, সক্রিয় রাজু
- হকার সন্ত্রাসীদের পেশীশক্তির উৎস কোথায়
- ফয়সাল হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
- সোনারগাঁয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় তিনজন
- আমাদের আন্দোলন থেমে নেই : নুর
- চেয়ারের মজা ছাড়তে নারাজ আজাদ বিশ্বাস
- ‘প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে’
- দ্রুতগতির লেনে বাস থামিয়ে যাত্রী নামানোয় ৪৩০ মামলা
- পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলেও বাংলাদেশ ভারতের হাতে জিম্মি: সাখাওয়াত
- ‘দুর্নীতি বাংলাদেশের সর্বত্র ক্যান্সারের মতো বিস্তার লাভ করেছে’
- নেচে-গেয়ে হোলি উৎসবে মাতলেন সনাতন ধর্মালম্বীরা
- সদর থানা যুবদল ও বন্ধু মহলের ইফতার
- পরামারাধ্য পিতৃদেব স্মরণে
- ৪৫ লাখ টাকাতেও ভোগান্তিতে নগরবাসী
- শ্রী চৈতন্য দেবের আবির্ভাব তিথি
- ঈদ ঘিরে জমে উঠছে জামদানি পল্লী
- হকার ইস্যুতে সেলিম ওসমানের কাছে নগরবাসীর তিন দাবি
- কে এই দাউদ সোহেল-ডাকাত সাহাবুদ্দিন
- আড়াইলাখে মুকুলকে গালিগালাজ
- শামীম ওসমান না জালাল মামা
- টনক নড়েছে হাই-বাদলের
- পরামারাধ্য পিতৃদেব স্মরণে
- ব্যর্থতায় কপাল পুড়লো আজিজ-রাফেলের
- বন্দরে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
- সর্বত্র জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব
- হকারদের ঔদ্ধত্যের পেছনে তিন কারণ
- ‘প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে’
- প্রধানমন্ত্রীর ছায়াতলে মেয়র আইভী
- মহানগর যুবদলের “তথ্য সংগ্রহ ফরম” বিতরণ
- ৪৫ লাখ টাকাতেও ভোগান্তিতে নগরবাসী
- কমিটির আওয়াজ নেই স্বেচ্ছাসেবক লীগে
- কুতুবপুরে ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারামারি
- এবার আন্ডারগ্রাউন্ডে দাউদ সোহেল, সক্রিয় রাজু
- সদর থানা যুবদল ও বন্ধু মহলের ইফতার
- না.গঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
- ঈদ ঘিরে জমে উঠছে জামদানি পল্লী
- স্বদিচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সবাই উন্নতি করতে পারে: আচল আহমেদ
- গরুর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে : রাজিব
- গরুর গলায় দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতাম : রনি
- সেদিনের পর থেকে আজও ছাগলের মাংস খাইনা : হোসনে আরা বীনা
- কোরবানির কথা মাথায় আসলেই ভয় লাগে : আবুল কাউসার আশা
- পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো কী না শঙ্কা আছে : শাহেদ
- দাম যেই শুনেছে সেই বলছে ‘ভাই ঠকছেন’: মোরছালীন বাবলা
- কখনো কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া হয়নি : সাংসদ হোসনে আরা বাবলী
- ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম
- ছোটবেলার ঈদে হৃদয় ছোঁয়া আনন্দ ছিল : এড.আওলাদ
- বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
- বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন
- এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাই : খোরশেদ
- গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি
- নেত্রী কারাগারে আলাদাভাবে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই : গিয়াস উদ্দিন