শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঈদে আগে মায়ের কবরে যেতাম,এবার বাবার কবরে যাবো :শরীফউদ্দীন সবুজ

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ এমন এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করে। মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে পারার পবিত্র অনুভূতি ধারণ করেই পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি। তবে এবারের ঈদটি একটু অন্যরকম নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দীন সবুজের। এবারই বাবাকে  ছাড়া ঈদ উদযাপন করা হবে তার।  যুগের চিন্তা ২৪ এর ঈদ আড্ডা আয়োজনে কথা নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। 

 

এবারের ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে শরীফ উদ্দীন সবুজ জানান, ঈদের দিন নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত করতে যাবো। আগে মায়ের কাছে যেতাম এখন বাবারটায়ও যাবো। ঈদের দিনে আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের বাসায় আসবে,খাওয়া-দাওয়া এই তো ঈদ উদযাপন হবে।
 

ছোটবেলা ঈদ উদযাপনের স্মৃতিচারণ করে শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, আসলে ছোটবেলার ঈদ উদযাপনটা সবসময়কার ঈদ উদযাপন তুলনায় বিশেষ। ছোটবেলায় অসংখ্য মজার স্মৃতি রয়েছে। ঈদের দিনে নামাজ শেষে যখন সবাই কোলাকুলি তখন আমরা বন্ধুরা মারামারি করতাম। তারপর আবার সব ভুলে ঘোরাফেরা,খাওয়া-দাওয়া হৈ-হুল্লোড় করতাম। এখন তো তা শুধুই স্মৃতি।
 

ঈদের সেলামি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন তো ঈদে সালামি পাওয়ার আনন্দ ছিলো অন্যরকম।  বাবা আমাকে ১০ টাকা করে সালামি দিতো। এটা দিয়ে আমি আমার সব বন্ধুদের চটপটি খাওয়াতাম। তখন অবশ্য চটপটির খাওয়ার বিষয়টা এখনকার মত ছিলো না। আমরা খুব আনন্দ করে চটপটি খাওয়াতাম।
 

তিনি বলেন, ছোটবেলায় আরো একটি বিষয় বেশ ভালো লাগতো। সেটা হলো আমাদের বাসায়  সেমাই বানানোর আয়োজন করা হত। তখন তো আর সেমাই বাজারে কিনতে পাওয়া  যেত না। হাতে বানানো হত। আমাদের বাসায়  সেমাই বানানোর মেশিন ছিলো। আর ঈদের সময় আসলে তখন বাড়িতে সেমাই বানানোর আসর বসতো। আশেপাশের প্রতিবেশীরা আসতো। অনেক সেমাই বানাতো হত। তারপর ঈদের দিন বড় হাড়িতে রান্না করে প্রতিবেশীদের দেয়া হত।
 

ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনও করা হয়নি। আমি ঈদের আগের দিন কেনাকাটা করি। কারণ রোজা রেখেও ঈদের কেনাকাটা করতে আমার ভালো লাগে না।
 

শরীফ উদ্দীন সবুজ তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সকলের ঈদ আনন্দে ও নিরাপদে কাটুক এই কামনা করি।
 

এই বিভাগের আরো খবর