বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঈদের আগে ইউনিয়ন কমিটি দিতে ব্যর্থ ফতুল্লা আওয়ামী লীগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  


# কমিটি না পেয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ
# ওয়ার্ড কমিটি না হওয়ার কারণে হচ্ছেনা : শওকত আলী

 

নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে ফতুল্লা একটি অন্যতম থানা। সেখানে আওয়ামী লীগ অনেকটা শক্ত অবস্থানে রয়েছে এখানকার সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশনায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা তারা তাদের কার্যক্রম করে থাকে। তবে এই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৫টি  ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়ন কাশিপুরের কমিটি দেওয়া হলেও বাকি চারটি ইউনিয়নের কমিটি এখনো দেওয়া হয় নাই।

 

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা কমিটি দিতে ব্যার্থ হচ্ছেন। আর এই কমিটি দেওয়া নিয়ে নেতাদের মধ্যে কোন রকম চিন্তার ভাজ নেই। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগরেও বেশি সময় যাবৎ কমিটি না হওয়ার কারনে সাংগঠনিক ভাবে অনেকটাই দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আগের কমিটির নেতৃবৃন্দরা বেশিরভাগই তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন এমনকি কোন কোন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম পর্যন্ত করেনি। অনেকেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের যে সকল ইউনিয়নে কমিটি বাকি রয়েছে সেগুলোতে যেন নতুন নেতৃত্ব¡ আসুক।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতারাই দাবি করেন অনেকটা খাম খেয়ালের কারণেই কমিটি হচ্ছে না। সারাবছরই বলছে কমিটি এই দিচ্ছি আর দেওয়া হয় না কি কারণে এর বিলম্ব হচ্ছে তাও জানি না। আশা করছি খুব শিঘ্রই কমিটি দিবে এবং নতুনররা এই নেতৃত্ব দিবে।

 

এর আগে ফতুল্লা থানা নেতৃবৃন্দ জানান ঈদের আগেই প্রত্যেকটি ইউনিয়নের কমিটি দেওয়া শেষ হয়ে যাবে কিন্ত ঈদ খুব সন্নিকটে চলে আসলেও এখনও পর্যন্ত চারটি ইউনিয়নের একটিরও কমিটি দেওয়া হয় নাই ।আর এতে অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেখা যাচ্ছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম শওকত আলী কমিটির চিন্তা বাদ দিয়ে এখন তিনি কুরবানীর গরুর হাট নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।আর সেটা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের জন্য সত্যিই খুবই দুঃখজনক।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী জানান, এখনো বিভিন্ন ইউনিয়নে ওয়ার্ড কাউন্সিলগুলো শেষ হয় নাই, তো এটা শেষ করতে পারছি না। এটা আশা করা যায় প্রত্যেকটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটিটা হাতে পেলে এটা সম্পন্ন করতে পারবো। কাউন্সিলটার কমিটির জমা না হলে আমরা তো কমিটি গঠন করতে পারি না। প্রতিটা ইউনিয়নে যারা নেতৃত্বে দিচ্ছেন তারা যদি ওয়ার্ডের গুলা সমাপ্ত করে না দেয় তাহলে আমি কি ইউনিয়ন কমিটি দেব আর এটা আমাদের জন্য কোন মতেই সম্ভব না। আমরা প্রত্যেকটা ইউনিয়নের নেতাদের আলটিমেটাম দিয়েছি এই সময়ের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটি শেষ করবে এবং আমাদের সেন্ট্রাল কমিটির আগেই সেটা হবে। ঈদের আগে সকল কমিটি দেওয়ার কথা থাকলেও এখন আর সেটা করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের অনেক নেতাকর্মী হজ্ব করতে চলে যাওয়ার কারনে আমরা তাদের ছাড়া কমিটিটা দিতে পারছিনা। তবে আমরা আশা করছি প্রত্যেকটা ইউনিয়নে ওয়ার্ড গুলোর কমিটি গুলা পেলে ঈদের পরপরই ইউনিয়ন গুলোর কাউন্সিল করা হবে। আর হাটের জন্য কমিটি হচ্ছে না এটা ভুল। হাটের কোন কিছুর মধ্যে আমি নেই।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর