শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঈদের পর শক্তি নিয়ে নামছে বিএনপি-আ.লীগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩  



# সম্প্রতি দুই দলই পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে


আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এই বছরকে নির্বাচনী প্রচারনার বছর হিসেবে ঘোষনা করেছে। সেই অনুযায়ী গত দুই নির্বাচনে দলীয় সভনেত্রী স্ব শরীরে মাঠে না নামলেও এবার এক বছর আগে থেকে মাঠে নেমে নৌকার জন্য মানুষের কাছে ভোট চেয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে মামলায় জর্জরিত নেতাদের উজ্জীবিত রেখে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি দুই দলই পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। এবার দু’দলের বাগযুদ্ধ ও বিভাগীয় রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে গেছে ইউনিয়ন পর্যায়ে। একই দিনে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রার বিপরীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ করেছে। রমজান মাসেও তাদের দুই দলের কর্মসূচি চলমান রয়েছে। রমজান মাসেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিএনপি কর্মসূচির মাধ্যমে দলের নেতৃবৃন্দকে চাঙ্গা রেখেছে।
জানাযায়, রমজান মাসের আগেও একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বছর দেশব্যাপী গণসমাবেশ, গণমিছিলের মতো নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়েছে বিএনপি। তাদের ঠেকাতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগও তাদের নেতা কর্মীদের মাঠে রেখেছে। সেই সাথে নতুন বছরেও আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত রেখেছে বিএনপি। তারা প্রায় প্রতিদিনই নানা কৌশলে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চলমান আছে। সভায় তিনি বলেন, আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। গ্যাস-বিদ্যুৎ-চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুগপৎ চলমান থাকবে। এরপরে ধীরে ধীরে আমরা উপজেলা-জেলা-মহানগর এবং এরপর তাদের যে ক্ষমতার মসনদ, সেই মসনদ জনগণ দখল করে নেবে, জনগণের সরকার গঠন করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে মাঠে ব্যস্ত রেখে নির্বাচনী বছর পার করতে চায় দলটি। সংঘাত এড়ানোর সব ধরনের চেষ্টা করার পাশাপাশি বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশলও নিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল।
সরকার পতনের দাবিতে গত বছর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেদিন কর্মসূচি থেকে বিএনপি নৈরাজ্য করতে পারে দাবি করে রাজধানীর অলিগলিতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমনকি সেদিন নারায়ণগঞ্জের জেলা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা শহরে মিছিল করার পাশা পাশি সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছে, বিএনপির নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে একযোগে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। দলকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি নির্বাচন সামনে রেখে কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে, জনগণকে সে আহব্বান জানানো হয়। সব কিছু মিলিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কারা ক্ষমতায় আসবে তা পরিস্কারন হবে। সেই সাথে ঈদুল ফিতরের পর দুই দলই শক্তি নিয়ে রাজপথে নামছেন। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে তাদের এই আন্দোলন কতটুকু শক্তিশালী হবে।  

এই বিভাগের আরো খবর