শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে জিমখানা লেক ও বাবুরাইল খাল

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা লেক এবং বাবুরাইল খালের কাজ প্রায় শেষ। এরই মাঝে লেক খনন করে তার চারিপাশে বাধাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং বাবুরাইল খালের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। তাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এখন তারা লেকপাড়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ শুরু করেছেন।

 

এই কাজ করতে বর্ষায়ও তেমন কোনো অসুবিধা হবে না। তবে এরই মাঝে মূল কাজ গুটিয়ে আনা হয়েছে। বাকী কাজও শেষ হয়ে যাবে। শিগগিরই মানুষ এই বিশাল কাজের সুফল ভোগ করতে পারবে। তিনি আরো জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজে এই কাজ দেখাশোনা করছেন।


তিনি আরো জানান, আগামী জুন মাসের আগেই শেষ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের জল্লারপাড়া লেকের কাজ। এরই মাঝে প্রায় শেষ হয়ে গেছে বাবুরাইল খালের কাজ। দুটি কাজ একই টেন্ডারে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তিনি এসব কথা বলার পর গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় দ্রæত এগিয়ে চলেছে এই লেকের কাজ। ফলে লেকটি নির্মান হলে একেবারে বদলে যাবে জল্লারপাড়া আমহাট্টা এলাকার চেহারা। রাতদিন কাজ চলছে। মন্ডলপাড়া ব্রিজ হইতে জল্লারপাড়া লেক সহ কাশীপুর আমবাগান পর্যন্ত পুরো বাবুরাইল খালের নির্মান কাজ এক সঙ্গেই চলছে। ফলে আগামী জুন মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে এবং সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হবে।


এদিকে এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা সরেজমিন গিয়ে দেখুন কি কাজ হচ্ছে। এরই মাঝে কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই কাজ শেষ হবে এবং শুভ উদ্বোধন করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। আশা করি পূরো কাজ শেষ হওয়ার পর যেকোনো মানুষ ওই এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাদের মন জুড়িয়ে যাবে।

 

তিনি বলেন, জল্লারপাড়া লেকটিও শেখ রাসেল পার্কেরই বর্ধিত অংশ এবং এটিও শেখ রাসেল পার্কের আদলেই নির্মাণ করা হচ্ছে। এটিও শেখ রাসেল পার্ক হিসাবেই পরিচিতি পাবে। লেকটি নির্মাণ শেষ হলে চারিপাশে বৃক্ষরোপন করা হবে। লেকপাড়ে মানুষ যাতে বিশ্রাম নিতে পারে সেই ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাই আশা করি শেখ রাসেল পার্ক এবং বাইবুরাইল খালসহ গোটা এলাকাটিই নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি আকর্ষনীয় এলাকা হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পূরো কাজটি শিগগিরই শেষ হবে এবং এর সুফল স্থানীয়রা ছাড়াও গোটা এলাকাবাসী ভোগ করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো জানান, পূরো এলাকাটিতেই বিশেষ ভাবে লাইটিং করা হবে। যার ফলে রাতের বেলা সৃষ্টি হবে আরো অপরূপ এক মনোরম দৃশ্যের।


এদিকে গতকাল জল্লারপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ হয়। ওই এলাকার মাহমুদুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লেকের নির্মাণ কাজ দেখছিলেন। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বলেন এই লেকটি নির্মাণ করায় আমরা খুবই খুশী এবং মেয়র আইভীকে ধন্যবাদ। কারণ এই লেকটি ময়লা দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছিলো। আমাদের জন্য দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা দায় হয়ে পরেছিলো। তাই এই লেক থেকে কয়েক হাজার ট্রাক ময়লাই সরানো হয়েছে। বর্তমানে দেখতেই পাচ্ছেন লেকটির পাড় বাধাইয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাড় বাধাই শেষ হলে লেকে পানি ছাড়া হবে। লেক পাড়ে মানুষ এসে যাতে বিশ্রাম নিতে পারে তার জন্য বেশ কয়েকটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। তাই জল্লারপাড়বাসী সবাই খুশী। আমরা মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞ। 

এই বিভাগের আরো খবর