একটি সিজারে সারাজীবনের পঙ্গুত্ব!
ফরিদ আহম্মেদ বাধন
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১
বিয়ের কয়েক মাস পরেই সুমনা সন্তান সম্ভবা হয়। মা হওয়ার আনন্দে সুমনা ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের মনেও চলছিল আনন্দ। গর্ভধারনের ৫ মাসের মাথায় নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে গাইনি চিকিৎসকের তত্বাবধানে গিয়েছিল সুমনা। তার চেম্বারে মাঝে মাঝে চেকআপে যেতেন তিনি। সন্তান জন্মের কিছুদিন আগে থেকে ঐ গাইনী চিকিৎসক সুমনাকে সিজারের কথা বলে।
সিজারের কথা শুনে ভয় পেয়েছিল সে। কিন্তু কিছু করার ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিজার করিয়ে সন্তান জন্ম দিতে হয়। সন্তান জন্মদানের পর থেকে বেশ কিছু শারিরীক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। এমনি ভাবে হাজারো প্রসুতি চিকিৎসকের তত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সিজারের সম্মুখিন হয়েছেন। সেই সাথে আজীবন এক ধরনের যন্ত্রণা নিয়েই বেঁচে থাকতে হচ্ছে সিজার করা মায়েদের। বিয়ের পর পরই একজন মা সন্তান প্রসব করতে গিয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।
প্রাচীনকালে দাদী,নানী,খালা,মামীদের বাচ্চা হতো। গ্রামের দাইমার হাতে সন্তান প্রসব হতো। কোনো বাড়িতে কোনো নারীর পেটে বাচ্চা আসার পরপরই গ্রাম বা শহরে দাইমায়ের খোঁজ খবর রাখতেন প্রসুতির পরিবার। প্রসব ব্যাথা উঠার পরপরই দাইমাকে বাসায় ডাকা হতো। আর তাঁদের হাতেই সন্তান প্রসব হতো। প্রসুতি মৃত্যুর তেমন কোনো খবর পাওয়া যেতো না। এখন যাকে বলা হয় নরমাল ডেলিভারী একজন দাইমা তাই করতেন। বর্তমানে নরমাল ডেলিভারী যেনো স্বপ্ন। হাতে গোনা দুইএকজন ব্যাতিত নরমালা ডেলিভারী জেনো অসম্ভব।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো নারায়ণগঞ্জের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে প্রসুতীর সিজার করা জেনো বাধ্যতা মূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন গাইনি চিকিৎসকের কাছে প্রসুতির প্রাথমিক চিকিৎসা করানো মানে সন্তান জন্মদানের আগে তাকে সিজারের জন্য প্রস্তুত করা। অনাকাঙ্খিত সিজারের কবলে পড়ে মায়েরা আজ পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। জেনো তেনোভাবে সিজার করানোর ফলে অনেকে অকালেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন। একেকটি ক্লিনিকে একেক রকম বাজেট ধরা হয় প্রসুতির সিজার করানোর জন্য। সবোর্চ্চ ৫০ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা নেয়া হয় একজন প্রসুতীর কাছ থেকে। আবার নারায়ণগঞ্জের পাড়া মহল্লায়ও গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ছোট ছোট ক্লিনিক। কোনো অনুমোদন না থাকলেও ঐ সমস্ত ক্লিনিকগুলোতে চলে প্রসুতীর অপারেশন।
তথ্যমতে,যদি নারীর প্রসবে জটিলতা থাকে তাহলে একজন চিকিৎসক তাকে অপারেশন করতে পারেন। যদি স্বাভাবিকের চাইতে প্রসব বেদনা যদি দীর্ঘ হয়, গর্ভ ফুল যদি জরায়ু মুখের কাছে নেমে আসে, প্রসবের পূর্বে যদি নারী জরায়ু বাইরে বেড়িয়ে আসে এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ডিম্বাশয় ও জরায়ুর সিস্ট, টিউমার থাকলে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়া হয়। তবে আমাদের দেশে সিজার এখন বাধ্যমূলক করে নিয়েছে চিকিৎসকরা। কারন সিজার মানেই চিকিৎসক বা ক্লিনিকের বাড়তি আয়। মা বা শিশুর অবস্থা যদি শোচনীয় হয় একমাত্র সে অবস্থায় সিজার করা যেতে পারে । কিন্তু এখন টাকার নেশায় অন্ধ হয়ে গেছে বেশিরভাগ চিকিৎসক।
২০০৭ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল বিভিন্ন হাসপাতালের উপর জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে উঠে আসে প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান করা মায়েদের মৃত্যু ঝুঁকি তিন গুণ বেশি। স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি ০.১%। জরিপে আরো উঠে আসে,সিজারের কারণে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চার জন্ম পরবর্তী শ্বাস প্রশ্বাস জনিত জটিলতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। একবার সিজার হবার পর পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে একজন মাকে বাচ্চা নিতে নিষেধ করা হয় ।
কারণ বাচ্চা ধারন করলে তা সেলাই অংশে মারাত্মক ক্ষতি করে। এরপরও অনাকাঙ্খিতভাবে কোন মা যদি বাচ্চা ধারণ করে ফেলে তবে মা ও শিশু থাকেন প্রচন্ড স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এছাড়া সিজার করা মায়েরা ৩ বারের বেশি বাচ্চাও নিতেও পারে না। অপরদিকে, সিজারিয়ানের ফলে যে প্রসুতীকে যে এনেসথেসিয়া দেওয়া হয় তার প্রভাবে নারীদের স্থায়ী কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। যাকে একটি স্থায়ী পঙ্গুত্বের সাথে তুলনা করা যায়।
- কাঁচপুর থেকে মেঘনা অরক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
- ইউপি সদস্য নার্গিস আক্তারের স্বামীর মৃত্যুতে সাবেক এমপি খোকার শোক
- বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসুল্লিরা
- প্রখর রোদেও থেমে নেই রিকশার প্যাডেল
- মারাত্মক অনিয়মে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে
- “আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর” সুপেয় পানি বিতরণ
- বড় রাজুর শেল্টারে সাল্লু-হীরা
- হিরণে ধ্বংসের পথে বন্দর উপজেলা বিএনপি
- ‘সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিজয়ী হবো’
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- কাজিমউদ্দিনের মৃত্যুর পরে বেকায়দায় চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার
- প্রকাশ্যে মানুষ খুন করার হুমকি দিচ্ছে ফেরদৌস-আউয়াল!
- খানপুর হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিকদের মানববন্ধন
- দাওয়াত পাননি মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক
- আবহাওয়ার বিপজ্জনক দেশান্তরি
- কালাম-বাবুতে জমজমাট লড়াই
- ‘এই গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে কিছু টিপস’
- মাওলানা আউয়ালের মতলববাজি
- বন্দর ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’
- মাকসুদকে জয়ী করতে বিএনপি নেতাদের উপর হিরণের চাপ
- তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশিপুরবাসী
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
- তাপপ্রবাহ কমাতে নাসিকের জল কামান
- গরমে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান-ছাতা-হাতপাখার, দামও চড়া
- অভাব দারিদ্রের কষাঘাতে সাধারণ মানুষ
- প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমান শামীম ওসমান
- রূপগঞ্জে দেদারসে চলছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা” অবাধে পুড়ছে কাঠ
- এমপির সন্তান হুইপের আত্মীয়রাই ফ্যাক্টর
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- সুফিয়ানকে চাপে ফেলার কৌশল
- পরিত্যক্ত গুদামে যুবকের লাশ
- চতুর্মুখী গ্যাড়াকলে রশীদ
- আইভীকে হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্ধ আ.লীগ
- অনলাইনে কালামের মনোনয়নপত্র জমা
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম
- সোনারগাঁ-রূপগঞ্জ নির্বাচনে আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- কেউ কাউকে ছাড় নয়
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- প্রফুল্ল আজাদ-নাজিম
- বন্দরে অবশেষে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান
- বিএনপিতে হিমশীতল হতাশা
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- একজন নুরুজ্জামান খাঁনের অপেক্ষায় রূপগঞ্জবাসী
- আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা
- দাপট কমেনি মৌমিতার
- লিংক রোডে লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তির নেপথ্যে এবিসি স্কুল
- পপুলারে পজেটিভ খানপুরে নেগেটিভ
- শিবুমার্কেট-হাজীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা
- নারায়ণগঞ্জ টু পোস্তগোলা সড়কটির বেহাল দশা
- মশা আছে, মশা কামড়াবেই
- নাক চেপে চলতে হয় শামসুজ্জোহা সড়কে (ভিডিওসহ)
- সড়ক দখলে বাস মালিকদের নৈরাজ্য, দূর্ভোগ নগরবাসীর
- একযুগেও সংস্কার হয়নি দক্ষিণ সস্তাপুরের সড়কটি, জনদূর্ভোগ চরমে
- অব্যবস্থাপনায় ফেরিই গলার কাঁটা (ভিডিও)
- নবীগঞ্জ ফেরিঘাটে চরম স্বেচ্ছাচারিতা
- নগরীর পাবলিক টয়লেটগুলোর বেহাল দশা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থা, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
- কেওঢালা-অলিপুরা রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
- ময়লার স্তূপের দুর্গন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী