
সারাদেশের মানুষ ইতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে একজন চ্যালেঞ্জিং মহিলা হিসেবে চিনে নিয়েছেন। তার কথাবার্তা ও কাজেকর্মে সর্বদাই একটা চ্যালেঞ্জিং মুড কাজ করে। আর এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই তিনি প্রতিনিয়ত বিজয় করায়ত্ব করে নিচ্ছেন। ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চ্যালেঞ্জ তার নিত্যসঙ্গী।
শপথ নেয়ার অল্প সময়ের ব্যবধানেই তিনি কমিশনারদের অনাস্থা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। কিন্তু খুব ধৈর্যের সাথে মেজাজ সংযত রেখে কৌশলী হয়ে তিনি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজের চেয়ার ঠিক রাখতে সমর্থ হন। চ্যালেঞ্জের শুরু সেই থেকেই। নানামুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই ২০ বছর যাবৎ চলছে তার পথচলা। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক অসাধ্য সাধন করেছেন। নিজ দলের বিরোধী পক্ষের তোপেরমুখেও লক্ষ্যচ্যুত হননি। রাসেল পার্ক বাস্তবায়ন করতে যেয়ে তাকে বাধার পাহাড় ডিঙ্গোতে হয়েছে।
কিন্তু এবার তার সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। চলতি মাসেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সিটি মেয়র। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সিটির বকেয়া কর আদায়ে মেয়র কঠোরমূর্তি ধারণ করবেন। কর আদায় করতে না পারলে সিটিবাসীর সেবা দিতে হিমশিম খাবেন কর্তৃপক্ষ। বকেয়া কর আদায়ের বিকল্প নেই বললেই চলে। আর সিটির বকেয়া করের অংকটাও কিন্তু কম নয়।
প্রায় ৩৪ কোটি টাকার উপর বকেয়া করের বোঝা সিটিবাসীর মাথায়। এই টাকা আদায়ের জন্য মেয়র বার বার তাগাদা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। করখেলাপীদের ভাবটা এমন যে, আমরাইতো তোমাকে ভোট দিয়ে বার বার ক্ষমতায় আনছি। এখন আমাদের দিকটাও তো তুমিই দেখবা; নাকি! আমরা এতো টাকা দিতে পারবো না। বকেয়া টাকা মাফ করে দাও।
কিন্তু মামাবাড়ির মতো এই আব্দার রাখতে গেলে যে সিটির বারোটা বাজতে দেরী হবে না, একথা তাদের কে বুঝাবে? তাই মেয়র করখেলাপীদের বাড়ি বাড়ি নোটিশ পাঠিয়েছেন। বকেয়া কর পরিশোধে গড়িমসি করলে কিংবা ব্যর্থ হলে করখেলাপীর সম্পত্তি অথবা মালামাল ক্রোক করা হবে। এরকম নোটিশ পেয়ে জনৈক করখেলাপী ঘাবড়ে গিয়ে বলেন, ‘তাইলে অহন আমাগো কি অইবো, বাঁচুম কেমনে! শোনা যাচ্ছে, করখেলাপীরা সংগঠিত হয়ে ক্রোকাভিযান ঠেকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এস.এ/জেসি