দেশে যখন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অক্টোবর মাসেই বিএনপিকে একটি চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে হচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলি।
জানা গেছে মাত্র কিছুদিন আগে জেলঅ বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এবং বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু ছিলেন সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের পাশে।
তখন অপর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে গিয়াস উদ্দিনের বিরোধ না থাকলেও বেশ দুরুত্ব¡ ছিলো। কিন্ত এই অল্প সময়ের ব্যাবধানে গিয়াস উদ্দিন থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছেন সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এবং মোস্তফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু।
অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলরের মধ্যস্ততায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সাথে দীপু ও খোকনের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাই এখন আর তারা গিয়াস উদ্দিনকে সহায়তা করতে রাজী নন বলে জানিয়েছে সূত্র। কিন্তু বিপরিতে নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে নতুন করে সখ্যতা গড়ে উঠেছে গিয়াস উদ্দিনের।
জানা গেছে আজাদ ও তার অনুসারীরা এখন গিয়াসের পাশে রয়েছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো নারায়ণগঞ্জ জেলায় নজরুল ইসলাম আজাদের তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই। সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান এবং মমিন উল্লা ডেভিডের পূরনো শিষ্যরা রয়েছে নজরুল ইসলাম আজাদের সাথে।
তবে আজাদেও যারা অনুসারী তারা এই জেলার রাজনীতিতে পোড় খাওয়া। যেমন জেলা যুবদলের বর্তমান আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা বিএনপির নেতা মাসুকুল ইসলাম রাজিব এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী প্রমুখ।
ফলে এই নেতারা আজাদের ইশরায় হয়তো গিয়াস উদ্দিনের সাথে থাকবেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো রাজধানী ঢাকাকে অচল করার টার্গেট নিয়ে এখন যে আন্দোলনের কথা শোনা যাচ্ছে তাতে বিএনপির ভেতরে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
অন্যথায় এই জেলায় বিএনপি কাংখিত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না বলে অনেকে মনে করেন। তাই আগামী দিনগুলিতে জেলা বিএনপির সভাপতি আর সাধারন সম্পাদকের মাঝে এই মুহুর্তে যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে আগামী দিনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপি এবং এর দায়ভার বর্তাবে এই দুইজনের উপরেই।
তাই বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন এই সময়ে নিজেদের ছোটোখাটো স্বার্থকে দূরে ঠেলে দলের স্বার্থে তাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে নামা জরুরী ছিলো বলে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন। তাই এখন গিয়াস উদ্দিনের সাথে খোকন ও দীপুর দূরত্ব এবং আজাদের ঐক্য বিএনপির আন্দোলনকে কতোটুকু বেগবান করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। এন.হুসেইন রনী /জেসি


