বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এবার বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১  

# নির্বাচনী কর্মকৌশল নির্ধারণে আগামী বৃহস্পতিবার তারেক রহমান জেলা ও মহানগর সভাপতি-সেক্রেটারীর সঙ্গে বৈঠক করবেন

 

আবহমান কাল থেকেই গ্রামবাংলার গৃহস্থ শরৎ-হেমন্ত থেকেই আসন শীতের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বাঁশ-খড় দিয়ে কুড়েঘরের চাল ও বেড়ার ফাঁক-ফোকড় মেরামত করে। গৃহিনীরা পুরাতন কাঁথা সারাই ও নতুন কাঁথার পত্তন দেয়। তারপর লেপ, তোষক, কাঁথা রোদে সেঁকে ভাজ করে তুলে রাখা হয় পৌঁষমাঘে ব্যবহারের জন্য। যে পরিবার এসব কাজে অবহেলা বা গাফিলতি করে আখেরে শীতে তাদেরই পস্তাতে হয়।

 

ঋতু পরিক্রমায় শীতের আগমনের মতোই দেশে আবারও এগিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০১৪ সালে বিএনপি  নির্বাচন বয়কট করেছিল। ২০১৮ সালে বোকার মতো পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলের নির্বাচনে ধরা দিয়েছিল। এবার কি করবে বিএনপি, সেই কর্মপন্থা ঠিক করতেই দলীয় নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন লন্ডন প্রবাসী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত ১৪ ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে লন্ডন থকে তিনি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকেছেন। ১৬ ঘন্টাব্যপী এ বৈঠকে ২৪৯ জন নেতা অংশ নেন এবং ১১২ জন নেতা বক্তব্য প্রদান করেন।

 

১ম দিন মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি বৈঠক করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও গৃহবন্দী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের সঙ্গে, এদিন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগজ্ঞ জেলা বিএনপি আহ্বায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকারও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ২য় দিন বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর বৈঠক করেছেন যুগ্ম মহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সম্পাদক পদের নেতাদের সঙ্গে। শেষদিন বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর বৈঠক করেছেন অঙ্গ ও সহয়োগী  সংগঠনৈর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। তিন দিনের এ বৈঠকে এমন একজনও পাওয়া যায়নি যিনি নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে বা মাঝামাঝি কোন মত দিয়েছেন। একবাক্যে সবাই বলেছেন এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়।

 

তিন দিনের এ বৈঠকে মোটাদাগে যেসব মতামত এসেছে তা হলো, এক. দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া। দুই. দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দেয়া ইত্যাদি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যপারে বিএনপির বক্তব্য পরিষ্কার করা।
এ ব্যাপারে আলাপকালে ১৪ সেপ্টেম্বর ১ম দিনের বৈঠকে উপস্থিত এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমরা তারেক রহমানকে জানিয়ে দিয়েছি বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন নয়। বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার আগে সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থা পাল্টাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে দেশ ও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করতে হবে।

 

এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী আবদুস সবুর খান সেন্টুর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণগজ্ঞ জেলা ও মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ করবেন। নির্বাচনী কর্মকৌশল নির্ধারণে পর্যায়ক্রমে তিনি কেন্দ্রীয় সদস্য এবং পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলাপ করবেন। এবার বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী।

এই বিভাগের আরো খবর