বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

এলজিইডি’র ২ লাখ টাকা চুরি, মামলা নিয়ে ধুম্রজাল

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর ২ লাখ টাকা চুরি অভিযোগে ৬৫ বছর বয়সী সাইদুল ইসলাম নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর চাষাঢ়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি এর অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিনের ব্যাগ থেকে ২ লক্ষ টাকা চুরি হয় । এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দেহভাজন সাইদুল ইসলামকে আটক করে মো. গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
 
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে চাষাঢ়া সোঁনালী ব্যাংক থেকে সরকারী ট্রেনিং এর ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে এলজিইডি এর অফিস সহকারী গিয়াস উদ্দিন। এরপর টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বরে হলে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন গিয়াস উদ্দিনকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে তার ব্যাগে রক্ষিত ১’হাজার টাকার নোটের দুইটি বান্ডিল কৌশলে চুরি করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। মো. গিয়াস উদ্দিন তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন অজ্ঞাত ব্যক্তি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে উপস্থিত থাকা বৃদ্ধা সাইফুল ইসলামকে ঝাপটে ধরলে চাষাঢ়ায় টহলরত পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে ওই বৃদ্ধাকে আটক করে।
 
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজামান। এদিকে অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন তার অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিষয়ে উল্লেখ করলেও মূল মামলায় কপিতে শুধু মাত্র সাইদুল ইসলামকেই আসামী করা হয়েছে। অভিযোগগর্ভে সাইদুল ইসলাম গিয়াস উদ্দিনের ব্যাগ কেটেছেন এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সেই টাকা নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে গেছে এমনটি উল্লেখ থাকলেও শুধু মাত্র সাইদুল ইসলামকেই একক ভাবে আসামী করা হয়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডি এর অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিদের পরিচয় তিনি জানেননা। তবে যাকে আটক করা হয়েছে তাকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেই বলতে পারবে আর কে কে জড়িত ছিল। সরকারী এই কর্মচারী বলছেন, যেহেতু সরকারী টাকা চুরি হয়েছে সেহেতু এই টাকার জরিমানা দেওয়ার মতো সামার্থ আমার নেই। তিনি আরো বলেছেন, চাষাঢ়া এলাকায় একাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ  সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারবে।
 
মামলার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান জামিল খান। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, এজাহারে অজ্ঞাত ব্যক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার বাদী একজন সরকারী কর্মচারী। তিনি এজাহারে যা উল্লেখ করেছেন এটাই ঘটনা। একাধিক ব্যক্তি ঘটনায় জড়িত কিন্তু শুধু মাত্র একজন ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে কেন জিজ্ঞাসা করলে এফআইআর এর কপি এখনো হাতে পাননি বলে জানান তদন্তকর্মকর্তা মা. হাসান জামিল খান।
 
এদিকে ব্যস্ত চাষাঢ়া এলাকায় ব্যাগ কেটে ২ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তৈরী হয়েছে ধুম্রজাল। বিষয়টি জানেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, হতে পারে চুরির ঘটনাটি সাজানো। কেননা একাধিক ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে চুরি করেছে এমন কথা উল্লেখ থাকলেও মামলাটি কেন একজনের বিরুদ্ধে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই বিভাগের আরো খবর