শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ওয়াসা সমাচার, না’গঞ্জ: কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ারের অনিয়ম-দুর্নীতি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২  


# ইনস্পেক্টর পরিচয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

# আমরা আরো চেষ্টা করি কীভাবে বিল বাড়ানো যায় : দেলোয়ার হোসেন
 

ওয়াসা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি-অপচয়ের দায়ভার ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই; ওয়াসায় চলে মূল্য বৃদ্ধির খেলা। অথচ ভোক্তাদের তা বাধ্য হয়েই সহ্য করতে হয়। একটা পক্ষ হওয়াত সত্ত্বেও একতরফা চাপিয়ে দেওয়ার সময় ভোক্তাদের বিল চলে যাচ্ছে কোথায়, সে বিষয়েই প্রশ্ন?  

 

 

নারায়ণগঞ্জ খানপুর জোড়া পানির ট্যাংকি ওয়াসা (পানি সরবরাহ বিভাগ) অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগের নিম্নগামী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, ‘তিনি’ বিভিন্ন পরিচয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনৈতিক কার্যকলাপ। ভোক্তভোগীদের যেনো অভিযোগের শেষ নেই; পানি সরবরাহ বিভাগ এর বিরুদ্ধে।

 

 

সেই ‘তিনি’ হলেন, পানি সরবরাহ বিভাগ এর দেলোয়ার হোসেন; একজন ডাটা অপারেটর হিসাবে কাজ করলেও তিনি এখানে প্রায় ১৫ বছর ধরে কাজ করেন। তাই সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন বনে গেছেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়ে থাকেন ওয়াসা’র একজন বড় কর্মকতা হিসাবে।

 

 

নিজের পথে থেকেই দুর্নীতি করে হাতিয়ে নিচ্ছে পানি সরবরাহ বিভাগ এর লাখ লাখ টাকা। তাই সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব; দেলোয়ার হচ্ছেন লাখো পতি।
 

 

তবে সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার নিজেকে ইনস্পেক্টর হিসাবে পরিচয় দিয়ে কুমোদিনীর ৪ টি গামেন্টস থেকে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তাই নামে মাত্র সেই প্রতিষ্ঠানের বিল করে: ৭৯০০-৩৩৪৯৪-২১১২৪ ও ৩১২৬ টাকা।

 

 

অপরদিকে, শহরের কালিবাজার দেলোয়ার টাওয়ারের বিল হওয়ার কথা ৫০/৬০ হাজার টাকা কিন্তু সে তাদের সাথে মিলে বিল করছে মাত্র ৭৫০০টাকা। শহরে বিবি রোর্ডে ২৬৫ টি হোল্ডিং স্বর্নপট্রি এলাকায় এসিধর রোড ১১০টি সেরাজ্জোদ্দৌলা ১৫০টি, শায়েস্তা খান ৩৫টি বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়ি অফিস সহ আধিপত্য বিস্তার করে। অনৈতিক ও দূর্নীতি করে অনিয়মের মাধমে প্রতিমাসে প্রায় ৪ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন।

 

 

এবিষয়ে, দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আপনি যে বিষয়ে গুলো বলছেন, দরকার হলে সেই হোল্ডিংগুলো নিয়ে যাঁচাই করেন। আমি কারো, আমার পরিচয় বাদে অন্য কোন পরিচয় দেইনি। আমি একজন কম্পিউটার অপারেটর।

 

 

আপনার কাছে যেসব তথ্য আছে সেগুলা নিয়ে দেখেন, কিছু পান কি না। আমরা আরো চেষ্টা করি কি ভাবে বিল বাড়ানো যায় আর কিভাবে গ্রাহক থেকে বিল উঠানো যায়।” এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর