কতটুকু এগিয়েছে সেন্টুর বিরুদ্ধে কুতুবপুর আ.লীগের সংবাদ সম্মেলন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৫ পিএম

# সেন্টুর ভর সামলাতে পারবে তো কুতুবপুর আওয়ামী লীগ
# সংবাদ সম্মেলনের নামে আ.লীগ নেতাদের ফাঁকা বুলি
গত ১২ ই সেপ্টম্বর শামীম ওসমানের সমাবেশ কে সফল করার লক্ষে এক প্রস্তুতি মূলক সভায় এমপি শামীম ওসমানের সামনে এক বক্তব্যে দিয়ে তিনি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছেন এমনকি তার বক্তব্যে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস ভূসিদস্যু চাাঁদাবাজদের সাথে তিনি রাজনীতি করতে চান না তার এমন বক্তব্যে চটেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা এমনকি কুতুবপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা এক সভায় সেন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করতে চায়।
বর্তমাানে এই বিষয়টা নিয়ে এলাকায় ব্যাপকভাবে তোলপাড় চলছে কেউ পক্ষে বিপক্ষে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্যে করে যাচ্ছে। কুতুবপুরের আওয়ামী লীগের অনেক নেতারাই মনে করছেন চেয়ারম্যান সেন্টু যে বক্তব্যে দিয়েছেন তা কোন এক ব্যক্তিতে লক্ষ করে বলেনি তিনি কারো নাম না বলে সরাসরি কুতুবপুর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
যে বক্তব্যে আমরা কুতুবপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতারা সত্যিই হতাশ হয়েছি। এমনকি তারা মনে করেন যারা কুতুবপুরে আওয়ামী লীগ করে কি ,তাহলে সবাই মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী তার কথায় এমনটাই মনে হয়। আমরা কুতুবপুর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খুব শিঘ্রই সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেবো।
তবে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিবে এমন বক্তব্যে দেওয়ার এক সপ্তাহ পার হলেও চোখে পড়েনি তেমন তৎপরতা। কুতুবপুর আওয়ামী লীগে দলীয় কার্যক্রমে তেমনটা সক্রিয় না থাকলেও পরে আছেন সেন্টুকে নিয়ে। এমনকি এমটাও শোনা যাচ্ছে কুতুবপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দফায় দফায় নেতাকর্মীদের মিটিং চলছে। তবে অনেকের মনে আদো কি পাররে এই সংবাদ সম্মেলন করতে না মুখেই ফালাফালি।
এ বিষয়ে মনিরুল আলম সেন্টু তেমনটা মাথা না ঘামিয়ে থাকতে চান কুতুবপুরের উন্নয়ন নিয়ে। কুতুবুপরের মানুষ যেন একটু ভালো থাকে মাদক, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পায় সেটাই একমাত্র চাওয়া।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন একটি গুরুত্বপূর্ন ইউনিয়ন যে ইউনিয়নে প্রায় দুই লক্ষাধিক এর ও বেশি লোকের বসবাস। শিল্প নগরী এলাকা হওয়ায় এই এলাকাতে বিভিন্ন জেলার মানুষ অবস্থান করে তাই বিভিন্ন সময় এই এলাকাতে নানান রকম অপকর্ম করে আবারো চলে যায়।
তবে বিশেষ করে এই এলাকার রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেশ কিছু সন্ত্রাসী মাথাচারা দিয়ে দাড়ালেও কেউ স্থায়ী হতে পারেনি ক্রস ফায়ারের কবলে পড়ে শেষ হয়েছে তাদের সাম্রাজ্য। তবে কুতুবপুরে সন্ত্রাসী,মাদক কারবারী, চাঁদাবাজদের একমাত্র বাধা কুতুবুপর ইউনিয়ন পরিষদের বার বারের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু যিনি এই কুতুবপুরে মাদক, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের আতঙ্কের এক নাম।
তবে দলীয় প্রভাব ও নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের নাম বিক্রি করে এই সকল মাদক ,সন্ত্রাস চাঁদাবাজরা কুতুবপুরে অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না এমনকি কেউ বাড়ি ঘর করতে গেলেও জোর পূর্বক মালামাল কিনতে বাধ্য করে এই সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।
কিন্ত কুতুবুপরের চেয়ারম্যান সেন্টু সেই সকল সন্ত্রাসীদের কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি এই কুতুবপুরের মাটিতে। এমনকি বেশ কয়েকবার এই সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিন চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বিএনপির রাজনৈতির সাথে জড়িত থাকলেও বিএনপি থেকে বহিস্কারের পর তিনি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হন এবং ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিনা প্রতিন্বন্ধিতায় চতুর্থ বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিন হন।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পড়েও দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না যা নিয়ে অনেক সময়ই আলোচনা সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাকে।
আবার অনেকেই বলতেন তিনি তার আগের দলকেই ভালবাসেন হয়তো আবারো সেখানে যাবেন কিন্ত না তিনি এবার প্রকাশ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এমপি শামীম ওসমানের ডাকা গত ১৬ ই সেপ্টেম্বর মহা সমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতি মূলক সভায় বক্তৃতা কালে প্রথমে জয় বাংলা বললেও জয় বঙ্গবন্ধু না বলায় এমপি শামীম ওসমান তাকে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে বলেন।
সাথে সাথেই তিনি বলার জন্য মাই হাতে নিয়ে আগেই বললেন আমি অবশ্যই বলবো তবে বলার আগে বেশ কয়েকটা কথা বলতে চাই আর সেটা হলো আমি কোন মাদক, ব্যবসায়ী, সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের সাথে বসতে চাই না , তাদের সাথে মোট মিটিং, মিছিল করতে চাই না লাগলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো ,নিজের চেয়ারম্যানী ছেড়ে দেবো ,এখন বলেন এখনই আমি রিজাইন দিয়ে দেবো তারপরও আমি এদের সাথে বসতে চাই না।
তারা বলুক তারা ভালো হয়ে গেছে তখন যাবো তার আগে নয় এই এলাকার কেউ বলতে পারবে না আমি কারো কাছ থেকে আজ পর্যন্ত একটা টাকা চাঁদাবাজি করেছি কোন রকম মাদকের সাথে আপোষ করেছি।
তার এই কথা শুনে এমপি শামীম ওসমান উত্তরে বলেন মাদক ব্যবসায়ী আমার যতো ঘনিষ্ট হোক না কেন যতো আমার যতো বড় ত্যাগী নেতা হোক না কেন কাউকে ছাড় নাই , আমার এতো লোকের দরকার নাই দুষ্টু গোয়ালের থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। এমপির এমন কথা শুনে হাজারো নেতাকর্মীদের সামনে চিৎকার করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেন সেন্টু। এন.হুসেইন রনী /জেসি