বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

করোনা হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স’র রমরমা ব্যবসা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

সরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ড্রাইভার পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়েই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সই নিতে হয় রোগীকে। হাসপাতালের ভিতরে যেখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার কথা সেখানে সারিবদ্ধভাবে থাকে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স। হাসপাতালের ভিতরেই এসব অ্যাম্বুলেন্সের মেরামতসহ সার্ভিসিং এর কাজ করা হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

ভুক্তভোগীদের দাবী রিতিমতো  জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যাবসায়ীরা। ফলে এই হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া ভাগ্যোর ব্যাপার। এই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ২০টির অধিক বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ মানুষের জন্য অ্যাম্বুলেসেবা সজহ করতে বিকেএমএইএ থেকে এমপি সেলিম ওসমান দুইটি উন্নত মানের অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। কিন্তু রোগীর ওই অ্যাম্বুলেসেবা পাওয়া আকাশের চাঁদের মতো। গতকাল নারায়ণগঞ্জ কোভিড-১৯ হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।



হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে, সরকারি এই হাসপাতালের ড্রাইভার শফি মোল্লা, আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. দুলাল এদেরই রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এরা দীর্ঘ দিন ধরে এই হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে ব্যবসা চালিছে যাচ্ছেন। অপরদিকে স্থানীয় আল-আমিন, সাগর, সাইদুলসহ আরো অনেকে অ্যাম্বুলেন্স ব্যাবসার সাথে জড়িত আছেন। এরা সব সময় হাসপাতালের ভিতরে অবাধে চলাচল করে থাকেন। হাসপাতাল থেকে রোগী রেফারড করা হলেই রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের ভাড়া হাতিয়ে নেয়। তবে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ড্রাইভার পাওয়া যায় না। বাদ্য হয়ে রোগী প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স নিতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা মেডিকেল এ ভাড়া নিচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। সোরওয়ার্দি হাসপাতালে ভাড়া নিচ্ছেন তিন হাজার টাকা। এখানে দালালরা জড়িত আছে। অকেন সময় দালালরা রোগীর অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ঠিক করে থাকেন। তাদের জন্যও কমিশন রাখেন ড্রাইভার। এমনটাই জানগেছে ভুক্তভুগিদের কাছে। করোনাকালেও হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোন কম টাকায় ভাড়া করবেন সে সুযোগ নেই। হাসপাতাল কেন্দ্রিক অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দিবে না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহনসেবাকে ঘিরে এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে বছরের পর বছর ধরে।  

 

অন্যদিকে হাসপাতালের ভিতরে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাখা নিষেধ থাকলেও তা মানছে না ব্যবসায়ীরা। হাসপাতালের ভিতরেই অ্যাম্বুলেন্স এর যন্ত্রাংশ’র কাজ সহ সার্ভিসিং করছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আর এতে করে রোগীরা জানতেও পারছে কোনটা সরাকারী আর কোনটা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। চিৎকিসক ঢাকায় রোগী রেফার করার সাথে সাথেই প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার তা লুফে নিচ্ছে। ফলে এই সরকারী হাসপাতালকে কেন্দ্র করে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স এর জমজমাট ব্যবসা চলছে। সরেজমিনে দেখোগেছে, হাসপাতালের ভিতর জরুরী বিভিাগের সামনে রয়েছে তিন থেকে চারটি সরকারী এ্যাম্বুলেন্স। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স এর সাথে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্সও। সরকারী অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ড্রাইভার এর দেখা পাওয়া যায়নি।

 

তবে বেসরকারী অ্যম্বুলেন্স ড্রাইভার পাওয়া গেল জরুরী বিভাগের ভিতরে। তারা রোগীর আসায় জরুরী বিভাগের ভিতর ঘুরাঘুরি করছে আবার কেউ এ্যাম্বুলেন্সে বসে আড্ডা দিচ্ছে। এই বিষয়ে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায় আবুল বাসার জানান, আমার হাসপাতকালে ৫টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে। রোগীদেরসেবা দিতে যথেষ্ট। তবে বেসরকারি অ্যম্বুলেন্স এর ড্রইভাররা যে হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করে সত্য। কোভিড টিার জন্য এরা সুজোক পেয়েছে। এখন ব্যস্তাতা কমে গেছে। একমাত্র সরকারি অ্যম্বুলেন্স ছাড়া বেসরকারি কোন অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালের ভিতরে থাকতে পারবে না। অন্যাথায় এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

এই বিভাগের আরো খবর