শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কর্মীসভার নামে ডেকে এনে রডের আঘাতে রক্তাক্ত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  

 

# দুই গ্রুপের আহত ১০
# মাহাবুবের হিংসাত্মক রাজনীতির কারণকেই দুষছে তৃণমূল

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের একজন দাম্ভিক নেতা জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবের হিংসাত্মক রাজনৈতিক কলাকৌশলের কারণে রক্তাক্ত হল নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা।

 

 

দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নিজের পেশীশক্তি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলে একক কৃতত্ব প্রতিষ্ঠা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলকে কুক্ষিগত করার পায়তারা করছিল মাহাবুব।

 

 

কারণ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলে প্রতি তার লোলুপ দৃষ্টি এখনো কমেনি যার কারণে আবারও নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হওয়ার জন্য জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সভায় তার নেতৃত্বের প্রতি অতিষ্ঠ নেতাকর্মীদের দমাতে পূর্বপরিকল্পিত হামলার রূপরেখা সাজিয়ে রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের কর্মীদের উপর হামলা চালায় মাহাবুবের কর্মী সমর্থক।

 

 

কারণ রফিক ছিল জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক বা সদস্য সচিব প্রার্থী আর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের অগ্রভাগের নেতারাই তাকে উক্ত পদে দেখতে চাচ্ছেন। তবে রফিক জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃত্বে আসুক এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিল না মাহাবুব তার কর্মী সমর্থকরা। কারণ রফিক এবং মাহাবুব রূপগঞ্জের হওয়ায় স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে গ্রুপিংয়ের প্রভাবে রফিককে দমাতে মাহাবুব উঠে পড়ে লেগেছে। যার ফলাফল স্বরূপ নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সভায় রফিকের কর্মী সমর্থকদের রক্তাক্ত করেছে মাহাবুবের কর্মীরা।

 

 


জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কর্মী সভায় যোগ দিতে রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রফিকের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে জান্নাত কনভেনশন হলের সামনে উপস্থিত হন। ঠিক একই সময় মাহাবুবের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকদলের রাজনীতি করা ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব রাসেল এবং থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আলী মাহাবুবের পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন।

 

 

তখন মাহাবুবের নেতাকর্মীরা রফিককে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে রফিক এবং মাহাবুবের নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান শুরু হয় তখন স্লোগান দেয়া অবস্থায় জোড় পূর্বক মাহাবুবের নেতাকর্মীরা রফিকের নেতাকর্মীদের সাথে সাংঘর্ষিক আচরণ করে সভা স্থলে প্রবেশ করেন।

 

 

এতেই ঘটে বিপপ্তি রফিকের নেতাকর্মীরা চড়াও হলে রফিক এবং মাহাবুবের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরবর্তীতে মাহাবুবের নেতাকর্মীরা জান্নাত কনভেনশনের শাটার লাগিয়ে ভবন স্থাপনার রড নিয়ে রফিকের নেতাকর্মীদের হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেন।

 

 

সেখানে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব রাসেল এবং থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব আলীকে রড হাতে রফিকের কর্মীদের হামলা করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে  পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আর এই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের প্রায় ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে রফিকের ২জন কর্মী গুরুতর আহত হন।

 

 

পরবর্তীতে মাহাবুবের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে পুরো এলাকা দখল নেয় রফিকের নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে মাহাবুব তার কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচাতে আসলে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে মাহাবুব। রফিক এসময় নেতাকর্মীদের নিবৃত করেন। পরে সম্মেলনস্থল থেকে নেমে এসে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সায়েমও নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে মাহাবুবকে মারমুখী নেতাকর্মীদের হাত থেকে রক্ষা করেন সায়েম ও রফিক।

 

 


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, তেমন বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। কনভেনশন হলের প্রবেশ করতে গিয়ে গেটে নেতাকর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি থেকে ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল। একই সময় দুই গ্রুপ প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন।

 

 


রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, মিছিলে নেতাকর্মীর সংখ্যা বেশি ছিল। এটা দেখে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব তার লোকজন নিয়ে আমাদের মিছিলে হামলা করে। পরে আমাদের লোকজনও পাল্টা প্রতিরোধের মুখে মাহবুবসহ তার নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় দুই  গ্রুপের নেতাকর্মী আহত হন।

এই বিভাগের আরো খবর