বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

‘কলাগাছিয়ায় ঘটনার নেতৃত্ব দেয়া ব্যক্তি সেলিম ভাইয়ের বন্ধু ছিলো’

এম সুলতান

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩  

 

# বাবুরাইলের মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী মাদক বিক্রি করে
# সাব্বির আলম খন্দকারের খুনিকে ঢাকায় আনা হলো, কিছু ঘটাতে হবে তাই

 

 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আমি এসপি সাহেব এর সাথে কথা বলেছি। গতকালকে কলাগাছিয়াতে একটি ঘটনা ঘটেছে। সেটার নেতৃত্ব যে দিয়েছে সে একসময় ছাত্রলীগ করতো, সে আমার থেকে বয়সে ৭ বছরের বড়। মানে, আমার বড় ভাই সেলিম ওসমানের বন্ধু ছিলো সে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ অনেক ঘটনা ঘটেছে, আমি জানি। সাংবাদিকদের আমি পছন্দ করি, যারা সত্য বলতে পারে তাদের।আরেকটা গ্রুপ আছে, অনেক কাউন্সিলর আছেন যারা সহজ সরলভাবে জীবন যাপন করেন। কিন্তু এক মহিলা কাউন্সিলর বাবুরাইলের দিকে বাড়ি আছে তার স্বামী মাদক বিক্রি করে ও সে দুই মামলার আসামী।

 

আরেকজন আছেন তার সন্তান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে চাকু দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিলো, তখন সাধারণ মানুষ বাঁচিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে গিয়াসউদ্দিন সাহেব এর ছেলে জড়িত। শুক্রবার (১৭) মার্চ বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ ১০ ওয়ার্ডে লক্ষ্মীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী, নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্কুলের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি।

 

এসময় শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি নিষিদ্ধ পল্লী উঠিয়ে ছিলাম। ওই নিষিদ্ধ পল্লীর নিষিদ্ধ সন্তান বিএনপি নেতা তৈমর আলম খন্দকার এর ভাই সাব্বির আলম খন্দকারকে হত্যা করা হয়েছিলো বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন এর নির্দেশে, তিনি এখন বড় বড় কথা বলছেন। যে মামলার আসামী তাকে নিয়ে আসলেন ঢাকাতে, কারণ কিছু একটা ঘটাতে হবে। কারণ তাদের টার্গেট হয়তো শামীম ওসমান হতে পারতো কিন্তু তারা পুলিশকে টার্গেট করলো, পুলিশ তাদের জীবন বাঁচাতে গুলি করায় সেদিন একটি বাচ্চা মারা গেলো। কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী শেষ হতো আর আপনার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যেতো। আর যদি হত্যা হতো তাহলে ত্বকীর মত করে আমাদের উপরে দোষ চাপাতে পারতেন। কাক উড়তে পারে, কোকিলও উড়তে পারে তবে সাবধান থাকবেন যাতে কাক মনে করে আপনাদের তাড়িয়ে না দেয়।

 

শামীম ওসমান আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাক এর বিনিময় সেদিন স্বাধীন হয়েছিলো। কিন্তু আমরা তাতে হত্যা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছে বলে হত্যাকারীদের বিচার শুরু হয়েছে। আমি তো তখন ছোট ছিলাম রাজনীতি কেনো করবো এটা তো একটি উন্নত দেশ হওয়ার কথা ছিলো। যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে তখন আমি ক্লাস ৭ম শ্রেণিতে পড়তাম। নাসিম ওসমানের বিয়ের দিন অস্ত্র হাতে নিয়ে বের হয়ে গেছে। আমরা ৫ ভাই-বোন যখন জন্ম হয়েছে তখন আমার বাবা জেলে ছিলো, অয়ন ওসমান যখন জন্ম হয়েছে তখন আমি জেলখানায় ছিলাম। খোকন আমাকে গোগনাইলের দাবীর কথা বলে কারণ আমি খোকনকে অনেক আদর করি এখানে চাওয়ার কিছু নাই। আমি যদি গোগনাইল এর জন্য কিছু না করি তাহলে আমি বেইমান হয়ে থাকবো।

 

শামীম ওসমান বলেন, আমার স্ত্রী যখন দেখে মানুষের কিছু লাগবে তখন তারা পাগল হয়ে যায়। তাই বলি আমার মাথায় চাপ দিয়োনা, আমি চেষ্টা করছি। নারায়ণগঞ্জ এ এখন অনেক বড় বড় কথা বলেন যারা আগরতলা থেকে পালিয়ে আসছেন আমি তাদের কথার উত্তর দিতে চাই না। মুরুব্বিরা জানেন, আমার বাবার একটি স্বাক্ষর দিয়ে অনেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অনেকে। কখনো কাক আবার কখনো কোকিল সাজে তারা সাজে কিছু মানুষ। যে এলাকার মানুষ আমাদের থাকতে দিয়েছেন তাদের কিছু চাইতে হবে না প্রধানমন্ত্রী যদি বেঁচে থাকে তাহলে সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এর চেহারা পাল্টে দিবো এখন যা চাইছেন তার থেকে বেশি পাবেন। নারায়ণগঞ্জে কিছু মানুষ আমাদের নাকি গালাগালি করে আমি সেগুলা শুনি না। আমার তাদের প্রতি মায়া লাগে। তাদের বলি এগুলা কিছু হবে না। তাই নারায়ণগঞ্জে যারা গীবত গায় তারা হয়তো কোন আপার বা সুন্দরী আপার কথায় এগুলা বলে তবে এগুলা করে কোন লাভ হবে না।

 

নারায়ণগঞ্জ এর কিছু সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, আমি নারায়ণগঞ্জকে নতুন বউয়ের মত করে সাজাতে চাই। আমি ডিএনডি প্রজেষ্ট করেছি সেটা আমাদের জন্য একটা অভিশাপ হয়েছিলো সেটার কাজ শেষ হয়নি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে। আমি ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড করেছি সেটি হলে অন্যতম সুন্দর একটি সড়ক হবে। আমার চাওয়ার কিছুই নাই কারণ জাতির পিতার কন্যা যখন সংসদের আমাদের কথা বলে নারায়ণগঞ্জ এসে যখন আমাদের কথা বলে তখন আর কি চাওয়ার আছে আমার। নারায়ণগঞ্জকে আমি আমার জানের থেকে বেশি ভালোবাসি, কি চাস বল, আমি দিবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।  

এস.এ/জসি

এই বিভাগের আরো খবর