শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাউন্সিল করতে এগিয়ে জেলা বিএনপি পিছিয়ে মহানগর

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

 

# দ্বন্দ্বে মহানগর বিএনপির সর্বাঙ্গে ক্ষত
# জেলা বিএনপি ছন্দ ধরে রেখেছে

 

 

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি‘র রাজনীতিতে সর্বক্ষেত্রে সকল দিক থেকে মহানগরকে পিছনে ফেলে সামনে অবস্থান করছে জেলা বিএনপি। কিন্তু বিগত দিনে মহানগর বিএনপি শহরের আওতাভুক্ত হওয়ায় সকল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপকভাবে এগিয়ে ছিল। আর তাদের ভূমিকা সকল সময় জেলার থেকে আলাদা দেখার মতো ছিল আর নেতাকর্মীরা সকল সময় ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু দীর্ঘ ৬ মাস যাবৎ মহানগর বিএনপির কিছু মূল নেতাকর্মীদের ব্যর্থতায় জেলা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে মহানগর বিএনপি।

 

এছাড়াও মহানগর বিএনপি থেকে আরো পরে কমিটি পেয়ে ও আস্তে আস্তে অনেকটাই সামনে অবস্থান করছে জেলা বিএনপি। এখন আবার দলকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলার লক্ষে উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন কমিটিগুলো যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা গঠন করেছে। আর তার পাশাপাশি সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে শীঘ্রই কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ফেলবে। যে কথা এখানো মাথায় আনতে পারেনি মহানগর বিএনপি।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিজস্ব নানা দ্বন্দ্বে কমিটি থেকে ঝড়ে পরে ১৫ জন। যার কারণে মহানগর বিএনপির দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। বর্তমানে আবার মূল কমিটি থেকে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মূল কমিটি থেকে বের হয়ে বিদ্রোহী মহানগর বিএনপির কমিটির সাথে যোগদান করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপির কমিটিতে বর্তমানে ছন্নছাড়া অবস্থা বিরাজ করছে।

 

জানা গেছে, মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের সময় কেন্দ্রে থেকে বলা হয়েছিল। অতি শীঘ্রই প্রথমে উপজেলা, থানা ও পরবর্তীতে সকল ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে। তাদের মূল কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য। কিন্তু ইতিমধ্যেই অতিক্রম হয়ে গেছে আহ্বায়ক কমিটির নির্ধারিত ৯০ দিনের ডবল মেয়াদ। বর্তমানে মূল কমিটি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলছে থানা ও উপজেলা কমিটি গঠনের প্রতিযোগিতা। কিছুদিন পর পরই কমিটি, পাল্টা কমিটি গঠন চলছে। অব্যাহত বিরোধিতা এবং পাল্টা কমিটির কারণে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে মহানগর বিএনপি।

 

জানা গেছে, পাল্টা কমিটি গঠনের মধ্যেও উপজেলা কমিটি গঠনে বিদ্রোহীদের থেকে পিছিয়ে পরেছেন মহানগর বিএনপির মূল কমিটি। অপর দিকে গত ১৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। যার কারণে বিগত দিন থেকে জেলা বিএনপিতে স্বচ্ছ রাজনীতির আবিরভাব হয়। আর জেলা বিএনপি বিগত দিনে চেইন অব কমান্ডভুক্তভাবে না চলতে পারলে ও বর্তমানে জেলা বিএনপিতে চেইন অব কমান্ড অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই জেলার অন্তর্গত ৫টি ইউনিট ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানা এবং রূপগঞ্জের কাঞ্চন ও তারাব পৌর বিএনপি’র কমিটি অনুমোদন করা হয়।

 

এছাড়াও কয়েকটি ইউনিয়নে ও যোগ্য ও রাজপথে পরীক্ষিত নেতৃত্ব দ্বারা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার কারণে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বিগত দিন থেকে আরো উজ্জ্বীবিত ও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। জেলা মূল নেতৃবৃন্দরা বলছে, দলের স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রয়োজন। এখন যদি ব্যক্তিগত কারণে সম্মিলিতভাবে কাজ না করে তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা বারবার চেষ্টা করছি সবাইকে নিয়ে কাজ করার। যে যতটুকু সম্মান পাওয়ার যোগ্য তাকে ততটুকু সম্মান দিয়েই কাজ করতে চাই। আর যারা দলে কোন্দল সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন তারা বর্তমানে সব কিছু ভূলে দলের দূর সময়ে পাশে থাকুন।

 

যার কারণে নেতৃবৃন্দের দাবি, অতি শীঘ্রই জেলা বিএনপিতে যারা বিদ্রোহী হয়ে আছে তারা দলের সাথে আবারো য্ক্তু হয়ে রাজপথের কার্যক্রম অবহৃত রাখবে। এছাড়াও সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। যার ফলে জেলা বিএনপি আরো শক্ত অবস্থানে চলে যাবে। কিন্তু নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও মহানগর বিএনপিকে আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধতা বিষয়ে ভাবছে না কমিটির মূল নেতৃবৃন্দ যার কারণে মহানগর বিগত দিন থেকে আরো ঝিমিয়ে পরছে। যার কারণে তৃণমূলের দাবি, জেলা বিএনপির সংগঠন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে মহানগর বিএনপি। যার ফলে সংগঠনে সৃষ্টি হচ্ছে সাংগঠনিক সমস্যা।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর