শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শিউলীর

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২১  

করোনা বীর হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা সাইদা আক্তার শিউলীর নামের এক নারী। গতমাসে হঠাৎ দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে। এবং পক্ষে-বিপক্ষে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হওয়া  খোরশেদ-শিউলী ঘটনাটি অবশেষে মামলা মোকাদ্দমায় গড়ালো। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলী নামক এক নারীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর করোনা যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ অপর এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভুক্তভোগী ঐ নারী সাঈদা আক্তার ওরফে সায়েদা শিউলি (৪০) বাদী হয়ে রোববার (১৬ মে) রাতে কাউন্সিলর খোরশেদ ও আরটিএন ফেরদৌসি আক্তার রেহানাকে আসামী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলার বাদী ফতুল্লা থানার ৩২১ নং উত্তর চাষাড়ার মৃত মো. জহিরুল হকের মেয়ে। মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলো নিহত ফতুল্লা থানার মাসদাইর শেরে বাংলা নগরের মৃত শাহ আলম খন্দকারের পুত্র মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান।


মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী সাঈদা শিউলি নারায়নগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সি,এনজি ওনার্স এসোসিয়ানের সভাপতি এবং গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও বিজেএমইর সদস্য। ব্যবসার কাজে প্রায় সময় তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়। বিবাদী খোরশেদের সাথে তার পরিচয়  ছেলেবেলা থেকে। তার ইতিপূর্বে একটি বিবাহ হয়েছিলো।স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সে ঘরে সন্তান রয়েছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে খোরশেদ এবং বাদী শিউলি ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করতো।এক পর্যায়ে  খোরশেদ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ২০২০ আগস্ট মাসের ২ তারিখে কাচপুর এস.এস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে এবং খোরশেদ বিভিন্ন স্থানে একসাথে রাত্রি যাপন সহ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

 

পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ তার সাথে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।  এ অবস্থায় সে ব্যবসায়ীক কাজে দুবাই চলে গেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে খোরশেদ তার ফেইসবুক লাইভে এসে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মানহানিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে এবং নানা বাজে মন্তব্য করে কুৎসা রটায়। এর একদিন পর ২৫ তারিখে আরটিএন ফেরদৌস আক্তার রেহানা ওরফে রেহানা মুসকান নামক এক নারী খোরশেদ খন্দকারের বাসায় বসে লাইভে এসে তার সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে। তাকে রাস্তার মেয়েদের সাথে তুলনা করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে এবং তার চুল কেটে ফেলা হবে বলেও ফেইসবুক লাইভে বলেন। এই দুটো বিষয়ই দুবাই থাকাকালীন অবস্থায় তিনি তার এক বান্ধবীর নিকট থেকে জানতে পেরে পরবর্তীতে তাদের আইডি থেকে পুরোপুরি বিষয়টি দেখেছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন এবং বর্তমানে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন। 


এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। 


এবিষয়ে জানতে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। 
 

এই বিভাগের আরো খবর