কাউন্সিলর পদে আ’লীগ ১৩; বিএনপি’র ১০ জাপা ২, বাসদ ১, নির্দলীয় ১

উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যদিয়েই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ২৭টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক ১৩ জন প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ওয়ার্ডগুলোতে বিএনপি সমর্থক ১০ জন, জাতীয় পার্টি সমর্থক ২ জন ও বাসদ সমর্থিক একজন ও নিরদলীয়ভাবে একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও ৯টি নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জনসহ মোট ১৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রিটার্নিং অফিস থেকে বেসরকারি ফল ঘোষণার পর স্থানীয় সূত্রে এসব প্রার্থীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিটি নির্বাচনে মেয়র পদের ভোট দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হলেও কাউন্সিলর পদগুলোর ভোট আগের মতোই নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত বিভিন্ন প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়। তাই, আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দলীয় পরিচয় ঘোষণা করা না হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা দলগুলো প্রতিটি ওয়ার্ডে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষভাবে সমর্থন দেয়।

রিটার্নিং অফিস ঘোষিত বেসরকারি ফল থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে আনোয়ারুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও বর্তমান কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, ৬নং ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৭নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান রিপন খান, ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর রুহুল আমিন, ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদানকৃত বর্তমান কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান, ১০নং ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ- প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির , ১৬নং ওয়ার্ডে যুবলীগ নেতা রিয়াদ হাসান, ১৭নং ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও  বর্তমান কাউন্সিলর মো. আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবু, ১৮নং ওয়ার্ডে মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, ২৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর মো. সামছুজ্জাহা ও ২৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, ২নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান, ৪নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা হাজী নুরু উদ্দিন মিয়া , ৫নং ওয়ার্ডে বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. সাদরিল, ১১ নং ওয়ার্ডের মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান ছক্কু, ১২ নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৩নং ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২০ নং ওয়ার্ডে বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেন শাহ্, ২২নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়া, ২৩নং ওয়ার্ডে সাবেক এমপি এড. আবুল কালালের পুত্র মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশা ও ২৫নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন জয়ী হয়েছেন।

কাউন্সিলর পদে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সমর্থক দুই প্রার্থীও কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এরা হচ্ছেন ১৯নং ওয়ার্ডে জাপা নেতা মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, ২৪নং ওয়ার্ডে মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও বর্তমান কাউন্সিলর আফজাল হোসেন।

এছাড়াও ১৫ নং ওয়ার্ডে বাসদ নেতা ও বর্তমান কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস ও নির্দলীয়ভাবে ২১নং ওয়ার্ডে মো. শাহিন মিয়া কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৯টি আসনের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে (১,২ ও ৩) মাকসুদা মোজাফফর, ২ নং ওয়ার্ডে (৪,৫ ও ৬) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মহিলা লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, ৩নং ওয়ার্ডে (৭,৮ ও ৯) মহানগর মহিলা দলের সদস্য সচিব ও বর্তমান কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, ৪নং ওয়ার্ডে (১০,১১ও ১২) মিনায়ারা বেগম, ৫নং ওয়ার্ডে (১৩,১৪,১৫) শারমিন হাবিব বিনি, ৬নং ওয়ার্ডে (১৬, ১৭,১৮) মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাসানের স্ত্রী ও বর্তমান কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ, ৭নং ওয়ার্ডে (১৯,২০,২১) বর্তমান কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ, ৮ নং ওয়ার্ডে (২২,২৩,২৪) বর্তমান কাউন্সিলর শাওন অঙ্কন এবং ৯ নং ওয়ার্ডে (২৫,২৬,২৭) সানিয়া সাউদ জয় পেয়েছেন।