বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কী হবে খোকন সাহা’র

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  


# জেলা ও মহানগরে অন্যতম আলোচিত ও সমালোচিত আওয়ামীলীগ নেতা তিনি

 


আওয়ামী লীগের এক কনিষ্ট নেতা সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা। নানা সময়ে নানা রকমের আলোচনায় সামনের দিকে উঠে আসে এই নেতা। নানা ধরণের  বেফাঁস বক্তব্যে ও নানা সমালোচনায় থাকেন এই খোকন সাহা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে আনোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে ২০১৩ সালে স্থান পায় । তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে ছিলেন। গত নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনি নমিনেশন চেয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের এক সম্মেলনে মেয়র আইভীকে মা বলে সম্মোধন করে আলোচনায় এসেছিলেন এই নেতা।

 

 

 

 

 

 

 

আবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে নৌকার দাবিতে সম্মূখ সারির নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে কাজ করেন তিনি। এমনকি ওসমান পরিবারের প্রতি ইঙ্গিত করেও খোকন সাহা নানা সময় কঠোর বক্তব্যে রেখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনের পরে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারও খোকন সাহা ওসমান শিবিরে ভেড়েন এর পরে লাগাতারভাবে মেয়র আইভীকে নিয়ে তিনি বক্তব্যে প্রধান করেন এবং ওসমান পরিবারের মন জয় করার চেষ্টা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

পরবর্তীতে ২০২২ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে খোকন সাহা লাগাতারভাবে তিন মাস ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের কথা বলেন। এই খোকন সাহা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও আওয়মীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রতাশা করেছিলেন। এর পর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ও তিনি মনোনয় পাবেন বলে আশা করেছিলেন কিন্তু এর কোনটিই হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে সিটি নির্বাচনের আগে সোনারগাঁয়ের যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নুর কাছ থেকে ৫ লাখ দাবি করে ছিলেন এই নেতা তার অডিও ভাইরাল হয় । কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও সেসময় খোকন সাহাকে নিয়ে মিডিয়ায় নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তার আগে সিটি নির্বাচনে গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী এবং মার্চে সিটি কার্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে উলামা পরিষদ হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে ওলামা পরিষদ মাঠে নামে এবং জিউসপুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে বলে হিন্দু পরিষদের নেতারা মাঠে নামে।

 

 

 

 

 

 

 

 

হিন্দু পরিষদের একাংশের নেতা শিখন সরকারসহ যেসকল নেতা ছিল তারা ভক্ত ছিল খোকন সাহার। পরবর্তীতে এই জেলা পরিষদ নির্বাচনে খোকন সাহার মনোনয়ন ব্যর্থতা এবং সিটি কর্পোরেশনের মনোনয়ন ব্যর্থতার দরুণ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতরাও খোকন সাহার থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনগুলোর আয়োজন নিয়ে তোরজোর চলছে। খোকন সাহা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হিসেবেও নিজেকে প্রচারণায় এনেছেন। তবে গতবছর খোকন সাহার বিরুদ্ধে সাক্ষাৎকারে মিথ্যা বলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা করে ছিলেন মেয়র আইভী। সে মামলায় এখন খোকন সাহা জামিন নিয়ে রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এ ছাড়া সিটি কর্পোরশন নির্বাচনের আগে খোকন সাহা বিভিন্ন নানা রকম বেফাঁস বক্তব্যে এবং তার যে বিতর্কিত ইমেজ  মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাতে তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নেতাকর্মীরা গ্রহণ করবে কিনা এটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মনে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাশাপাশি আবারো তাকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করবে কিনা এনিয়েও ঘোর সংশয় রয়েছে খোদ তৃণমূল এবং খোকনসাহার অনুসারীদের মধ্যে। এসকল বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা যুগের চিন্তাকে জানান, এই মহানগর আওয়ামী লীগে কে সভাপতি হবে কে সাধারণ সম্পাদক হবে এটা কেন্দ্রীয় বিষয় এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর