শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কুতুবপুরে বাবুল মেম্বারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অডিও ক্লিপ ফাঁস

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৩  


# তার অনুসারীরাই তার অপকর্মের কথা তুলে ধরেছেন

# যা ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে
 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল মিয়া বিরুদ্ধে পপুলার মাল্টিপারপাসের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে তার অনুসারীরাই। তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম নিয়ে তুলে ধরা একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

জানা যায়, বেশ কয়েকমাস আগে পপুলার মাল্টিপারপাস নামে এক সমবায় সমিতি কয়েক হাজার গ্রহকের টাকা আত্মসাতের পায়তারা করে পরে সকল গ্রাহক সেই সকল কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করলে তাৎখনিক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং পপুলারের কর্মকর্তদের কাছ থেকে গ্রাহকদের সকল পাওনা উঠিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দিলে গ্রাহকরা সকলে বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল মিয়ার কাছে সকল গ্রাহকের বই সংগ্রহ করে এবং সকলের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দিলেও তার মধ্যে ব্যাপক অনিয়মের দেখা দিয়েছে।

 

 

আর তার এই অনিয়মের তথ্য ফাঁস করলেন তারই কিছু বিশ্বস্ত অনুসারীরা। এসময় অডিও ক্লিপটিতে শোনা গেছে বাবুল মেম্বার তার লোকজন দিয়ে পপুলারের বিল কালেকশন করেছে এবং ৬ হাজার বইয়ের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার লোকের কোন খোঁজ খবর নাই। আর সেই বইগুলোতে ওই ডেটে টাকার অংক বসাইয়া ওই বিলটা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পাশ করাইয়া আনছে।

 

 

আর যেই বই গুলোর কোন তদন্ত নেই ২০ হাজারের জায়গায় ৬০ হাজার বসাইছে ওই বইয়ের মালিক থাকলেও এখন সেই বইয়ের মালিক এখন ওরা । এমনকি ফিল্ডের কাজ করা মেয়েদের তাড়িয়ে দিয়ে বাবুল মেম্বারের নির্দেশনায় নজির, আক্তার, রিপনে উঠাইছে এগুলা আর খাতায় হিসার নাই। শুধু তাই নয় বাবুল মেম্বারের চোট ভাই আবুলের বইতেও ২০ হাজার টাকা কোথা থেকে আসলো এগুলা। শাহী বাজার এলাকায় মাদক তার এক ভাই মনিরের নিয়ন্ত্রণে।

 

 

আর বাবুল মেম্বার কবরস্থানে গিয়ে মাদক সেবন করে। ইউনিয়ন পরিষদের থেকে ২ বস্তা চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সবাইকে ১ বস্তা করে চাল দিয়েছে আর বাকি চাল তার ঘরে নিয়া রাখে তার বাসায় গেলেও অনেক ত্রানের চাল পাওয়া যাবে।তার নির্বাচনে কোন টাকা ছিলোনা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে হাওলার করে নির্বাচন করছে। সে এখন মানুষকে ঠকিয়ে রক্ত চুষে খাচ্ছে। আর এই পপুলারের গ্রাহক প্রকৃত যারা টাকা পায় তারা এখন টাকা পাচ্ছেনা ।

 

 

তবে এ বিষয়ে জানতে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোন ধরনের টাকা আত্মসাত করেননি। আর তারা কখনই আমার অনুসারী ছিলো যারা আমার নামে অভিযোগ গুলো তুলেছে তারা আমার ছোট ভাইয়ের সাথে চলতো। পপুলারের সকল গ্রহকদের হিসার আমার কাছে আছে । সকলের টাকা আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে অডিও ক্লিপে যে ধরনের কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা; আমি বিষয়টা আমাদের চেয়ারম্যান মহাদয়কে জানিয়েছি।

 

 

শুধু তাই নয় এই কুতবপুরে ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল মিয়াকে নিয়ে এর আগেও অভিযোগের শেষ ছিলো না। সরকারি কল বসানোর কথা বলে সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকেও নিয়েছিলো প্রায় লক্ষাধিক টাকা পরে সেই কল দিতে না পারায় সংখ্যালঘু পরিবারটি প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে আসলে চাপে পরে সেই পরিবারটির চটাকা দিতে বাধ্য হন।

 

 

শুধু এগুলো করেই তিনি থেমে থাকেননি  টিসিবিব পন্য দেওয়া নিয়েও তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম এমনকি নিজের দেওয়া স্বাক্ষর কাগজ থাকলেই সে টিসিবির পণ্য পেয়েছে। আর প্রকৃত যারা এই ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ার কথা তারা বঞ্চিত হয়েছে। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর