বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে যুবলীগ কর্মীকে হত্যা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১  

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোলমান (৩০) নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোলমান উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার মজিদ শিকদারের ছেলে। তিনি মুড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী ছিলেন বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।

 

জানা গেছে, মুড়াপাড়াসহ আশপাশের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছসহ চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে যুবলীগকর্মী সোলায়মানসহ তার সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে সোলায়মান গ্রুপের প্রায় সময়ই মাছিমপুর, মীরকুটিরছেও, নাসিংগলসহ বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে।

 

সর্বশেষ শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১২টার দিকে মাছিমপুর এলাকায় চেয়ারম্যান সমর্থকদের সঙ্গে সোলায়মানসহ মোহাম্মদ আলী, রিয়াজ, সেলিম, সবুজসহ তাদের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

 

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বাদী হয়ে নিহত সোলমানসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতে ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার পর (পহেলা জুন) মঙ্গলবার দুপুরে নার্সিংগল এলাকার মাছের খামারে খাবার দিচ্ছিলো যুবলীগ কর্মী সোলায়মান। এ সময় সোলমানকে মাছের খামার থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে গর্ন্ধবপুর নামাপাড়া এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের সমর্থকরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ইট দিয়ে থেঁতলে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

 

হত্যাকাণ্ডের পর মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত পড়েছে বললে এলাকাবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে এসে দেখতে পান সোলমানকে হত্যা করা হয়েছে। সোলমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে জানতে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘নিহত সোলমানের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরো খবর