বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কুশিয়ারা সড়কটি খানা খন্দকে ভরা

বন্দর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২  



বন্দর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বন্দর ইউনিয়ণস্থ কুশিয়ারা এলাকাটি। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ। যিনি এই ইউনিয়নে পরপর ৩বার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে সামসুজ্জোহা উচ্চ বিদ্যালয়,আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়সহ  একটি পশু হাসপাতাল রয়েছে। নবীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ড এর পর থেকেই এই ইউনিয়ণ শুরু হয়েছে। এই ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়কে দীর্ঘদিন ধরেই খানা খন্দকে পরিপূর্ণ। কুশিয়ার থেকে কাইকারটেক ব্রীজ এর পূর্ব পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার কারনে  চরম ভোগান্তিতে পড়ছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের অর্পিত দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে এমনই অভিমত এই ইউনিয়নের সাধারন মানুষের।

 


 
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,বন্দর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা বেশ নাজুক অবস্থা রয়েছে। সড়টির বুক চিরে পথচারী পাড়াপাড়ে যেন ভোগান্তির অন্ত নাই। বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষার্থী কিংবা পথচারী চলাচলেও ঘটছে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যানবাহন চালক ও পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে অনেক বছর ধরেই। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্যোগই গ্রহন করছেনা। তাদের একাধিকবার অবগত করেও কোন লাভ হয়নি।

 

 

তবে এবার পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টিতে পুরো সড়কের নাজুক অবস্থার উপক্রম হয়েছে। শুধু যান চলাচল নয়,পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে এ সড়কটি। এই ইউনিয়নের উপর দিয়ে মদনপুর,মদনগঞ্জ,সোনারগাঁসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। এলাকাবাসী দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার চায়। এবং স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের দৃষ্টি কামনা করছে।

 


 
অটোচালক রমিজউদ্দিন বলেন,রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া আর খাইতে পারমুনা মনে হয়। অন্য কাম খুঁজতে হইবো। নাইলে না খাইয়া মরমু,কারন এ রাস্তায় গাড়ি লইয়া নামলে বাড়ি ফিরতে পারমু কিনা তার গ্যারান্টি নাই।


 
এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

এই বিভাগের আরো খবর