কোরবানিকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে হোগলাপাটির
লতিফ রানা
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২১
কোরবানিকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা শিল্প হোগলার। কোরবানির গরু জবাই করার পর মাংস কাটার জন্য এখনো দেশের প্রায় সকল এলাকায়ই হোগলা পাতা দিয়ে বানানো পাটির ব্যাপক চাহিদা। এর বাইরে হোগলা পাটির ব্যবহার এখন আর তেমন একটা নাই বললে চলে। আর চাহিদা হীনতার কারণে এই শিল্পের সাথে এখন আর ঘনিষ্ঠভাবে জড়াতে চায় না কেহ।
সেই হারিয়ে যেতে বসা হোগলা পাটির ব্যপকহারে কদর বাড়ে শুধু কোরবানীর সময় এলে। যেই হোগলা পাটি এক সময় প্রতি বাড়িতে বাড়িতে দেখা যেত, মসজিদ-মন্দিরে দেখা যেত, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত, প্রত্যেক বাড়ির বৈঠকখানায় হোগলা না থাকলে যেন আড্ডাই জমতো না। কালের আবর্তে সেই হোগলা পাটি তথা হোগলা শিল্প এখন প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে। এক সময়ের ব্যাপক চাহিদা সমৃদ্ধ এবং খুবই প্রয়োজনীয় একটি শিল্প এখন পরিণত হয়েছে মৌসুমি শিল্পে। কোরবানির ঈদের চার থেকে পাঁচ মাস আগে থেকে এই পাটি বানানোর জন্য অর্ডার দেয় পাইকাররা।
হোগল পাতা নামক এই জলজ উদ্ভিদ আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে উপক‚লীয় অঞ্চলের এটেঁল মাটিতে জন্মে। আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে নদী, খাল ও ঝিলের কিনারায় প্রাকৃতিক উপায়ে এই উদ্ভিদ জন্মায়। এগুলো লম্বায় প্রায় ৫ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হয়। যখন ১ থেকে ২ ইঞ্চি সারি সারি পাতার সমন্বয়ে বেড়ে ওঠে তখন সৃষ্টি হয় মনোমুগ্ধকর সবুজ পরিবেশ। সেসব এলাকার কিছু নিম্ন আয়ের মানুষ এই উদ্ভিদ সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে জীবনযাপন করত। আবার কেউ কেউ এই হোগল পাতা কিনে গ্রামীণ কুঁড়ে ঘরের বেড়া, ফসলের ক্ষেতে বেড়া, ঘরের ছাউনি ও ফসল রাখার টুকরির কাজে ব্যবহার করত। বিশেষ করে গ্রামের নারীরা বাড়তি আয়ের উৎস হিসাবে কোমল ও নরম পাতা আলাদা করে তা দিয়ে শীতল পাটি, হাতপাখা, নামাজের মাদুর, কুশন, ঝুড়ি, টুপি ও টুকরিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করত। এসব পণ্য শহরের অনেক মানুষকেও ব্যবহার করতে দেখা যেত।
তবে হোগলা দিয়ে বানানো পাটি একসময় মক্তব, মসজিদ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার হতো। গ্রামের সকল পেশার মানুষ খাওয়া, নামাজ ও ঘুমানোর কাজে এই পাটির ব্যবহার হতো সব থেকে বেশি। বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় তীব্র গরমে মানুষ হোগল পাতার হাতপাখা ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। তবে এখন এই পাটির ব্যবহার বিশেষ কয়েকটি কাজেই হয়। তারমধ্যে অন্যতম কোরবানি। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর, কোটালী পাড়া, কাশিয়ানী, টুঙ্গীপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ শিল্পের এই হোগলা পাতা দিয়ে চাটাইসহ অন্যান্য শৌখিন সামগ্রী তৈরি করে। কুমিল্লা জেলার বরুড়ার শাকেরপুর, খোঁশবাশ ইউনিয়ন পরিষদসহ অনেক গ্রামে হোগলা পাটি বানানো হয়। মুন্সিগঞ্জ জেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে, সিরাজদিখান উপজেলার আশ-পাশে এই হোগলা পাতার পাটির বানানোর কাজে অনেক পরিবারই জড়িত।
এছাড়াও বরিশাল জেলার বিভিন্ন এলাকায় হোগলা চাষ ও পাটি তৈরী হয়। বিশেষ করে পরিবারের নারীরা এ পেশায় বেশি জড়িত। তারা সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই পাটি বানিয়ে থাকেন। একজন নারী ঘরে বসেই দক্ষ হাতে প্রতিদিন প্রায় ৩টার মত পাটি বানাতে পারেন। শহরের চারারগোপ এলাকার খাল পাড়ে দেখা যায় হোগলা পাটির বিরাট মজুদ। সেখানে নোঙ্গর করা আরো দুইটি ট্রলার থেকে মাথায় করে হোগলার পাটি নামাচ্ছেন শ্রমিকরা। এখানে মজুদ করা পাটিগুলো কালীরবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মিলন স্টোরের। এখান থেকে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা পাটি কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে শহরের কালীর বাজার এলাকার হোগলা পাটির অন্যতম ব্যবসায়ী মিলন স্টোরের কর্ণধার আরিফুল হক নির্ঝর জানান, বরিশালের বিভিন্ন হাট থেকে আমরা লোক মারফত এগুলো সংগ্রহ করি। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক মাস ধরে সেখানকার হাটগুলো থেকে তারা এগুলো কিনে সংগ্রহ করে রাখেন। যখন আমাদের চাহিদা মতো সংগ্রহ হয়, তখন আমরা নদী পথে দুই তিনটি ট্রলারে করে নিয়ে এসে কালীর বাজার এলাকার চারারগোপ এর খালে নিয়ে আসি।
তিনি জানান, তাদের এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটিতে তারা প্রায় ৫০ বছর যাবত ব্যবসা করছেন। তারা এখান থেকে এই হোগলার পাটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক যোগে সাপ্লাই দেন। কোরবানির ঈদের এই সময়টাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার দোকানদাররা তাদের কাছ থেকে এই পাটি কিনে নিয়ে ব্যবসা করেন। আগে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বেশির ভাগ বাড়ি ঘরের মেঝে মাটির তৈরী ছিল, তাই তখন এই হোগলা পাটির চাহিদা ছিল ব্যাপক। কিন্তু এখন দেশের বেশির ভাগ মেঝেই পাকা হওয়ায় কোরবানির ঈদ ছাড়া এই হোগলা পাটির তেমন আর চাহিদা নাই।
- মাওলানা আউয়ালের মতলববাজি
- বন্দর ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’
- মাকসুদকে জয়ী করতে বিএনপি নেতাদের উপর হিরণের চাপ
- তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশিপুরবাসী
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
- তাপপ্রবাহ কমাতে নাসিকের জল কামান
- গরমে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান-ছাতা-হাতপাখার, দামও চড়া
- অভাব দারিদ্রের কষাঘাতে সাধারণ মানুষ
- প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমান শামীম ওসমান
- রূপগঞ্জে দেদারসে চলছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা” অবাধে পুড়ছে কাঠ
- তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- কালাম-বাবুর খোঁচাখুঁচি
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া সাল্লু ও হীরা বাহিনী
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- সোনারগাঁয়ে ৪৯ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২
- আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা
- যারই আত্মীয় হোক না কেন কোন ছাড় দেয়া হবেনা : ইসি আলমগীর
- ‘দুর্নীতি’র তদন্ত চেয়ে দুদকের কাছে ব্যারিস্টার সুমনের আবেদন
- তীব্র গরমে বেড়েছে শরবত-ডাবের চাহিদা
- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
- হিট অ্যালার্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- ‘পেনশন স্কিম বাস্তবায়িত হলে দেশে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে না’
- সর্বজনীন পেনশন নিয়ে নানা সংশয়
- চার বছরেও শেষ হয়না ৮ কিলোমিটার রাস্তার কাজ
- নারায়ণগঞ্জে যেসব এলাকায় থাকবে না গ্যাস আজ
- এমপির সন্তান হুইপের আত্মীয়রাই ফ্যাক্টর
- পছন্দ-অপছন্দের নির্বাচনী লড়াই
- সুফিয়ানকে চাপে ফেলার কৌশল
- পরিত্যক্ত গুদামে যুবকের লাশ
- চতুর্মুখী গ্যাড়াকলে রশীদ
- সদর উপজেলা নির্বাচন অনিশ্চিত
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- আইভীকে হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্ধ আ.লীগ
- শামীম ওসমানের কাছে হকার সমস্যার সমাধান
- অনলাইনে কালামের মনোনয়নপত্র জমা
- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম
- সোনারগাঁ-রূপগঞ্জ নির্বাচনে আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- নিরুত্তাপ শাহজাহান ভূঁইয়া
- কেউ কাউকে ছাড় নয়
- বিএনপিতে হিমশীতল হতাশা
- বন্দরে অবশেষে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান
- প্রফুল্ল আজাদ-নাজিম
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- ফুটপাত দখলমুক্ত রাখাই চ্যালেঞ্জ
- মহিলাসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ মামুনুল হক (ভিডিও)
- আমরা ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় রয়েছি : মোস্তাইন বিল্লাহ
- রমজানের আগেই অস্থির বাজার
- নিটল টাটা মটরস’র প্রাইভেট কারের নতুন শো রুম উদ্বোধন
- সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে করুণদশা, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন ব্যাংকে
- ‘লেটার অব ক্রেডিট’ বা ‘এলসি’ এর আদ্যোপান্ত
- ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নাসিকের বাজেট ৭১৫ কোটি টাকা
- গার্মেন্টসে বেতন বাড়াতে রাজি মালিকদের শর্ত ট্যাক্স কমাতে হবে
- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল
- ঝাঁঝ কমছেনা আদার, অপরিবর্তিত সবজির দামও
- সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি : উত্তেজনা
- না’গঞ্জে কুমিল্লা জেলা সমিতি গঠিত
- বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সেই ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
- পাল্টে গেছে বাজার চিত্র : ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি শিম
- দাম কমল কোরবানির পশুর চামড়ার