শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কোরবানীর পশুতে ভরপুর হাট, ক্রেতা শূন্য

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২১  

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবছর ৬টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোরবানী ঈদের বাকি মাত্র ৪দিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই শহরের কোরবানীর বড় বড় পশুর হাটসহ শহরের বাইরের অন্যান্য হাটগুলোতে কোরবানীর পশুতে ভরপুর। কিন্তু হাট গুলোতে ভরপুর পশু থাকলেও ছিলো ক্রেতা শূণ্য।

 

হাটের আয়োজন আরও আগেই শুরু করেছিলেন ইজারাদাররা। পশু ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, মূলত ঈদের তিন দিন আগে হাটগুলো পুরোপুরি জমে উঠবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সরেজমিনে শহর ও শহরের বাইরের কোরবানীর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী  কোরবানীর পশু গরু-ছাগল নিয়ে বসে আছেন। তবে, আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না। ক্রেতার উপস্থিতি কম হওয়ায় কাঙিক্ষত দামও উঠছে না কোরবানির পশুর। বিক্রিও তেমন হচ্ছে না। দূর-দূরান্ত থেকে আসা খামারিরা কোরবানি পশুর হাটে শুয়ে বসে অলস সময় পার করছেন।

 

তবে ঈদের বাকী আর চারদিন আশায় বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ও বাসা-বাড়িতে পশু পালনের ঝামেলার কারনে এখনো ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। তবে অনেকে আসছেন, দামের ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন। কোরবানীর দিন যত ঘনিয়ে আসবে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়বে বলে আশা বিক্রেতাদের। হাট ইজারাদাররা বলছেন, সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধির নিদের্শনা মেনেই হাট পরিচালনা করছি। হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও মাইকিং করা হচ্ছে। আর হাট এখনও জমে উঠেনি। হাটে এখনও পশু কিনার মতো ক্রেতা আসেনি। যারাই আসে তারা দেখতে আসছে। ঈদের তিনদিন আগে বেচাকোনা শুরু হবে। তবে লকডাউনের কারনে এবার আগেবাগেই বিক্রেতারা কোরবানীর পশু নিয়ে হাট চলে এসেছে খামারীরা।

 

হাটে সিরাজগঞ্জের আব্দুল মজিদ নামের এক পশু ব্যবসায়ী বলেন, আমি ২০টি গরু নিয়ে এখানে এসেছি কয়েকদিন আগে। এবার একটু আগেভাগেই এসেছি। যদি দামে মিলে যায়, তাহলে তাড়াতাড়ি বিক্রি করে বাড়ি চলে যাবো। গরুর দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে যে গরু গুলো আছে, সেগুলোর দাম ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এত দাম দিয়ে গরু কেনার মতো ক্রেতা এখনও হাটে আসেনি। হাটের আরেক পশু ব্যবসায়ী কাশেম আলী সাতটি গরু নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি সাতটি গরু নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে একটি গরু আকারে অনেক বড়। অনেকেই সেটা দেখতে আসছেন।

 

এই গরুর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর বয়স এখন প্রায় তিন বছর। এ গরুর খাবারের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। দামের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো দাম নির্ধারণ করিনি। তাছাড়া, অনেক বেশি দাম দিয়ে গরুর কেনার মতো ক্রেতা এখনও হাটে আসেননি। তাই অপেক্ষায় আছি। এদিকে, ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, হাটে এখনও বেশি গরু না আসায় বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন। কোরবানীর গরু কিনতে আসা আলতাফ হোসেন বলেন, হাট এখনও পুরোপুরি জমেনি। করোনার মধ্যেও এসেছি, কারণ কোরবানি তো দিতেই হবে। তাই, হাট পুরোপুরি জমে ওঠার আগেই যদি সম্ভব হয়, তাহলে গরু কিনে ফেলব। কারণ, শেষদিকে মানুষ অনেক বেশি হবে। তখন করোনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এখানে এসে দেখি বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাইছেন। এখনও হাটে বেশি গরু আসেনি।

এই বিভাগের আরো খবর