বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ক্ষমতায় থেকে তারা লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে ফেলেছে: গিয়াসউদ্দিন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩  



সরকারের সমালোচনা করে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আজকে সরকারের ভীত নড়ে গেছে। সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। তারা এখন আন্দোলন সংগ্রাম ও দেশের জনগণক ভয় পায়। এজন্য তারা এখন ওলোট-পালট কথা বলে।

 

 

ধারাবাহিক ভাবে সঠিক কথা তারা বলতে পারে না। মিথ্যার বেশ নিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গতকাল বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সংলগ্ন পাসপোর্ট অফিসের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

তিনি আরও বলেন, তারা মানুষের অধিকার যেভাবে নষ্ট করেছে তেমনিভাবে তারা এ দেশের মানুষের অর্থ সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে পাচার করে দেশকে দূর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার একসমূহ অবস্থানে বাংলাদেশকে তারা ঠেলে দিয়েছে। অথচ তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় তারা ইতিমধ্যে গড়েছে।

 

 

হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, আলোচনা এবং শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

 

 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত দুই নির্বাচনে মানুষ তাদের ভোট ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত পারে নাই। বিনা ভোটে যারা ক্ষমতায় তারা আজকে জবর দখল করে আছে। যারা নিজেদেরকে মন্ত্রী ও এমপি ভাবে তারা কেউ নির্বাচিত নয় স্বঘোষিত নেতা।

 

 

মানুষ যখন লজ্জা হারিয়ে ফেলে তখন মানুষ সববিছু করতে পারে। আজকে এ সরকারের যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা লাজলজ্জা সমস্ত কিছুকে খেয়ে ফেলেছে। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলে। বিএনপিকে কটাক্ষ করে কথা বলে।

 

 

বিএনপির নাকি সাংগঠনিক শক্তি, কোল সোজা করে দাঁড়াতে ও আন্দোলন সংগ্রাম করতে পারে না। তারা বিভিন্ন প্রকার কথা বলে। দেশকে ১৪ বছরে লুন্ঠন করে যারা আজকে সম্পদের পাহাড় গড়েছে ও দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলে তাদেরকে আজকে বিএনপি দেখাচ্ছে রাজপথে।

 

 

সাবেক এই সাংসদ বলেন, আজকে তারা গণতন্ত্র দিতে ভয় পায়। তাদের দলে আজকে যারা আওয়ামীলীগ ও সরকারের সুবিধা ভোগ করে তাদেরও অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে দেখতে পারে না। বাজারে গেলে বলে আমরা সরকারি লোক তখন তাদের সম্মান দেয় না।

 

 

কারণ মানুষ বলে তাদের ভোটের অধিকার হরণ করা দলের মানুষ। ভোট চোরের দলের মানুষ যখন বলে তখন তারা লজ্জিত হয়। এ লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য তারা মনে মনে দোয়া করে সরকারের পতন ঘটুক। অন্য একটা সরকার আসুক সেই সরকারকে দাঁড় করিয়ে আমরা যেনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।

 

 

জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লুৎফুর রহমান খোকা, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। 

 

 

জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শাহীন মিয়া, সদস্য সচিব কায়সার রিফাত, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমীন।

 

 

জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রিয়াদ মো. চৌধুরী, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বারি ভূইয়া, কাউন্সিলর ইকবাল, যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম স্বপনসহ জেলা বিএনপির আওতাধীন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এন. এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর