শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

খারাপ পরিস্থিতিতেও কাঁচা পাটের চাহিদা থাকায় ব্যাপকহারে রপ্তানি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২২  

 

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) ৫৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ অফিসের কার্যালয়ের আফজাল হোসেন মিলনায়তনে এই বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।

 

 

সভায় আলোচ্যসূচী অনুযায়ী ৩০ জুন ২০২০ এবং ৩০ শে জুন ২০২১ সালের নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং ২০২১-২০২২ এর কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন পঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিতে গৃহিত হয়।

 

 

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান এফ এম সাইফুজ্জামান, কার্যকরি কমিটির সদস্য শেখ কওসার আলী, লিয়াকত হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, শহীদ হোসেন দুলাল, নূরুল  হোসেন, এস এম হাফিজুর রহমান ও শেখ দাউদ হায়দার প্রমুখ।

 

 

সভায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও দৌলতপুর অঞ্চলের বিশিষ্ট কাঁচাপাট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে পাটের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়।

 

 



সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ সৈয়দ আলী বলেন, কিছুদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্যনীতিতে শর্তসাপেক্ষ কাঁচাপাট বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কারণে পাট ব্যবসায়ীগণ কাঁচাপাট রপ্তানিতে বিড়ম্বনার শিকার হন। বিষয়টি কোনো অবস্থাতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছিল না। এটা পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছিল।

 

 



তিনি আরও বলেন, এটা বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানসহ কার্যকরি কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে পাট ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে সার্বিকভাবে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য নীতি হতে কাঁচাপাট বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  আর এই অব্যাহতির মাধ্যমে বর্তমানে কাঁচাপাট রপ্তানি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

 

 



সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের পাটনীতিতে কাঁচাপাট রপ্তানি অন্তর্ভুক্ত করার কারণে কাঁচাপাট ব্যবসায়ীরা যে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছিল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কার্যকরি সদস্যদের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে বিষয়টির সার্বিক সমস্যার সমাধান করা হয়। ফলে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ইপিবির অফিস হওয়ার কারণে নারায়ণগঞ্জের কাঁচাপাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানীকারকগণ রপ্তানীতে অনেক সুবিধা হয়েছে। এখান থেকেই অনুমতি পত্র নিয়ে তারা রপ্তানি করতে পারছে।

 

 



তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পাটের পরিস্থিতি সার্বিকভাবে আমাদের রপ্তানী দিন দিন কমে যাওয়ার পথে। কিন্তু বিশ^ বাজারে পাটের চাহিদা আছে প্রচুর পরিমাণে। বৈদেশিক খারাপ অবস্থায় কাঁচা পাটের অবস্থা ভালো তাই একটু বেশি আমাদের এখন পাট রপ্তানী হচ্ছে।

 

 

 

আমাদের বিগত কমিটি সুন্দরভাবে তা পরিচালনা করে আসছে। আমি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীবৃন্দ আছেন আমি সবাইকে অনুরোধ করবো। দীর্ঘদিন যাবৎ আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাখে জড়িত তারই ধারাবাহিকতায় অনেক চেয়ারম্যানের সাথে কাজ করেছি। সে অবস্থায় ধীরে ধীরে আজকে একটা পর্যায় চলে এসেছে।

 

 

 

কোয়ালিটি এন্ড কোয়ানটিটি এসোসিয়োশনের ফোকাস গভর্মেন্ট লেভেলে যদি না থাকে তাহলে এসোসিয়োশনের ভ্যালু থাকবে না। বাংলাদেশে ১২৬০টি এসোসিয়েশন আছে এর মধ্যে আমরা একটি। তার মন্ত্রণালয়ে আমাদের মন্ত্রণালয় আমরা সরাসারি পাট মন্ত্রণালয় অর্থমন্ত্রণালয় বাণিজ্যে মন্ত্রনালয়ের সাথে আমরা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারি।
 

এই বিভাগের আরো খবর