বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গভীর বেদনায় ব্যথিত গোটা না’গঞ্জের মানুষ

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১  

# চুনকা আর আইভীর পেছনের মূল শক্তি ছিলেন মমতাজ বেগম

 


প্রয়াত জননেতা আলী আহম্মদ চুনকার সহধর্মিনী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জনপ্রিয় মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর মা মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোকে, ব্যাথায় কাতর হয়ে পরেছেন গোটা নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ। মরহুমার মৃত্যুর পর গত তিনদিনে নারায়ণগঞ্জ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে তা নজিরবিবিহীন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে পোষ্ট দিয়েছেন বহু মানুষ।

 

ফলে প্রমান হয়েছে, কেবল তার স্বামী আলী আহম্মদ চুনকা ও তার মেয়ে ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীই জনপ্রিয় ছিলেন না, বরং মমতাজ বেগমও সমান জনপ্রিয় ছিলেন। সমাজের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় এমন কথাই প্রকাশ হচ্ছে। বিশেষ করে এই শহরে যাদের বয়স পঞ্চাশ বা তার উর্ধে তারা এই মহিয়সি নারীর গুনকির্তন করছেন। তাদের বক্তব্য হলো তারা কাছে থেকে দেখেছেন আলী আহম্মদ চুনকা যেমন একজন নিরহংকার মানুষ ছিলেন, তেমনি মমতাজ বেগমও ছিলেন একেবারেই মাটির একজন মানুষ। স্বাধীনতার আগে ও পরে যখন আলী আহম্মদ চুনকা এই জেলার নেতৃত্বে ছিলেন তখন প্রায় প্রতিদিনই তার বাড়িতে ছিলো শত মানুষের আনাগোনা। আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতা থেকে শুরু করে সারা জেলার স্থানীয় নেতাদের অবাধ জাতায়ত ছিলো তার বাড়িতে। প্রয়াত আলী আহম্মদ চুনকা একই সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

 

এছাড়া তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান। সঙ্গত কারণেই তখন ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা ছিলো তার। শহরের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন তখন যারাই চুনকা সাহেবের বাড়িতে যেতেন কেউই না খেয়ে ফিরতেন না। তাই বিপুল সংখ্যক মানুষকে আপ্যায়নের দায় ভার ছিলো এই মমতাজ বেগমের হাতে। ফলে সারাদিন চুলার পাশে রান্না ঘরেই থাকতে হতো তাকে। এক কথায় স্বামী আলী আহম্মদ চুনকাকে আগলে রাখতেন তার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী মমতাজ বেগম। আলী আহম্মদ চুনকার পর বিগত সতোরো বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন তার কন্যা আইভী।

 

বলা হচ্ছে আইভীর অনুপ্রেরণার বাতিঘর ছিলেন তার মা মমতাজ বেগম। আইভী যখনই কোনো জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেন তখনই মায়ের পরামর্শ নিতেন। সিটি করপোরেশনের চেয়ার বসে আইভীকে প্রায়ই তার মায়ের পরামর্শ নেয়ার কথা বলতে শোনা যেতো। সেই মা আজ সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন। তাই একদিকে যেমন মাকে হারিয়ে একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছেন মেয়র আইভী অপরদিকে তেমনি নারায়ণগঞ্জবাসীও একজন শক্ত অভিবাবক হারানোর ব্যাথা অনুভব করছেন। তাই তারা এই মুহুর্ত্বে আইভীর পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন আরো শক্তভাবে।

এই বিভাগের আরো খবর