বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গুমোট ভাব মহানগর বিএনপিতে

লতিফ রানা

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  


# যারা বিরোধিতা করছেন তাদের অনেকেই বিতর্কিত


# তারেক রহমান না জেনে, তদন্ত না করে, মুখস্ত কোন কমিটি দেন না : টিপু

 


 
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মধ্যে একধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য, আল্টিমেটাম পাল্টা আল্টিমেটামের মধ্যে চলা মহানগর বিএনপির মধ্যে চলছে এখন গুমট ভাব। উভয় পক্ষই একে অন্যের কার্যক্রমের দিকে লক্ষ্য রাখছে। সেই অনুযায়ী পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন নেতারা।

 

 

 

 

 

 

 

অন্যদিকে দুই পক্ষের সমর্থকগণই আছে শাখের করাতে। বিশেষ করে যারা নিরীহ বলে পরিচিত, দলের বাইরে গিয়ে কে নেতা হলো, কে হলো না, সে বিষয় নিয়ে ভাবতে চান না, তারা আছেন পর্যবেক্ষণের দৃষ্টিতে। কার পক্ষে গিয়ে কার শত্রু হবেন এমন একটি পরিস্থিতিতে।

 

 

 

 

 

 

 

অর্থাৎ ভাল বা মন্দ যা-ই হোক না কেন, তাদের কাছে যোগ্য অযোগ্যর চেয়েও বড় বিষয় হলো, কেন্দ্র যদি কাউকে দল থেকে বহিস্কার করে একমাত্র তখনি সেসব নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে তাদের সমস্যা হয় না। অন্যদিকে সামনে গঠন করা হবে মহানগর বিএনপির সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলো।

 

 

 

 

 

 

 

তাই তারাও কোন পক্ষকে চটিয়ে বা ক্ষেপিয়ে বিপদে পড়তে চান না। তবে যে সময় দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঐক্যের প্রয়োজন সেই সময়ই এমন বিভক্তিতে হতাশ তৃণমূল বিএনপি। অন্যদিকে অনেক দিনের খরা কাটিয়ে মহানগর বিএনপির কমিটিকে বেগবান করার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

সেখানে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপর থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠে বিভক্তি। ঘোষিত এই কমিটির বিপক্ষে যারা আছেন তাদের অভিযোগ, বর্তমান সময়ের জন্য সেই শক্তিশালী কমিটি করার দরকার ছিল সেই তুলনায় কমিটি খুবই দুর্বল।

 

 

 

 

 

 

 

আন্দোলন সংগ্রামে তারা রাজপথ কাঁপাতে পারবেন না বলে এবং ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানান একই সাথে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ১৫জন। তবে কমিটির সমর্থকগণ মনে করেন, যারা কমিটির বিরোধিতা করছেন তাদের মধ্যে অনেকেই বিতর্কিত।

 

 

 

 

 

 

 

সাম্প্রতিক সময়ে দলের প্রয়োজনীয় মুহুর্তে তারা কোন ভূমিকাই রাখেননি বরং সুযোগ নিয়ে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এরই মধ্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদ্য ঘোষণা করা আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল শুধু পদত্যাগই করেননি বরং বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ তার পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্তমান কমিটির পক্ষের নেতৃবৃন্দসহ তাদের সমর্থকগণ। দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা সম্পর্কে এ ধরনের অশালীন মন্তব্য তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। একই সাথে তাদের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান তারা। অন্যদিকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে কমিটি বিরোধীদেরও কোন আগ্রহ নেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

তাই এই অবস্থায় দুই পক্ষই নির্ভর করে আছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের উপর। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনের করণীয় ঠিক করতে চান উভয় পক্ষ। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, দলের সার্বক্ষণিক খবর আমাদের নেতা তারেক রহমানকে জানানো হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

উনার নির্দেশই আমাদের শীরধায্য। তারেক রহমান না জেনে, তদন্ত না করে, মুখস্ত কোন কমিটি দেন না। যারা আমানতকে খেয়ানত করবে না, তাদের প্রতি দায়িত্ব দিবেন। তবে আমাদের দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়ই আমরা আছি। তারপরও আমরা চাইনা কাউকে বাদ দিয়ে দল করতে।

 

 

 

 

 

 

 

দলের বিভক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সাগর থেকে দশ বিশ বালতি পানি কমলে সাগরের কিছু আসে যায় না। এই দল লোকাললি কোন ব্যক্তির উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেনি। তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া যার মাথার উপর হাত রাখবে সে-ই নেতা বা খাদেম। তিনি আরও বলেন, এখন অনেকেই বলছে তাদের ৫হাজার নেতা কর্মী আছে, তাদের যদি এত নেতা কর্মী থাকতো তাহলে তো শেখ হাসিনা এতদিন ক্ষমতায়ই থাকে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৫ হাজার নেতা কর্মী তাদের থাকলে তারা এতদিন কেন প্রোগ্রাম করেনি। আপনাকে যখন দল দায়িত্ব দিয়েছে আর আপনার পছন্দ হয়নি, আপনি এখন ভয় দেখাইতেছেন। যারা এখন এসব কথা বলতেছে তারা বিগত দিনে কি করেছেন। তাদের সামনে যখন জিয়াউর রহমানকে গালি দিল তখন তারা কি করেছে। এই বিষয়টা তাদেরকে একটু জিজ্ঞাসা করে দেখবেন।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর