শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩  

 

# তারা ক্ষমতা পেয়ে ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ হয়ে উঠেছে:  মানববন্ধনে বক্তারা
 

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি এড. এবিসিদ্দিকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রফিউর রাব্বির। 

 

 

শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা সদস্য সচিব ধীমান সাহা জুয়েল, মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রীনা আহমেদ, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব। 

 

 

ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক হিমাংসু সাহা, নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মুজিবুর রহমান আকন্দ, সামাজিক আন্দোলন জেলা সম্পাদক ফারুক মহসীন প্রমূখ।  

 

 

রফিউর রাব্বি বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে ৯ বার। গত পহেলা জানুয়ারি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকার নিজের হাতে নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

 

 

এখন সরকার নির্বাহী আদেশে এ সবের দাম যখন ইচ্ছা বাড়ানোর ক্ষমতা পেয়ে ‘ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন’ হয়ে উঠেছে। সরকার বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এক দিকে রেন্টাল-কুইক রেন্টালে উচ্চ মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপদন করছে; অন্য দিকে সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের মুনাফা দিতে স্থল ও সাগরে গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলনের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে এলএনজি আমদানী করছে।

 

 

২০১০ সালে দুই বছরের জন্য কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের কথা বলে এখনো তা অব্যাহত রেখেছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনদূর্ভোগকে অসহনীয় করে তুলছে। সরকার তার ভুল সিদ্ধান্ত, দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে।

 

 

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির হার ১৫৫ থেকে ১৭৮ শতাংশ। দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০ শতাংশ গ্যাসে উৎপাদিত। এখন সরকারি ও বেসরকারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সাকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছে। এতে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানোর পথ তেরী করেছে সরকার।

 

 

এবি সিদ্দিক বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব এখন নিত্যপণ্যের উপর পড়বে। দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে, জনজীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তিনি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য বিইআরসি আইন সংশোধনী প্রত্যাহার ও বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর