শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গ্যাসের সংকটে অসহায় না.গঞ্জের মানুষ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  



গত শুক্রবার ছুটির দিনেও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গ্যাস ছিলো না। ফলে সাধারন মানুষ ভাত রান্না করে খেতে পারেনি। এই অবস্থা চলছে বহু দিন ধরে। যদিও গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ শহরে তিতাস গ্যাস কার্যালয় ঘেরাও করেছিলো ‘আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী’ নামক সংগঠনটি।

 

 

এই সংগঠনের ব্যানারে বহু মানুষ এই ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলো। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা, ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বন্দর থানা এলাকা থেকেও সাধারন মানুষ এসে যোগ দিয়েছিলো। তাদের একটিই দাবী, রান্না করার জন্য গ্যাস চাই। ঘরে ঘরে গ্যাসের অভাবে রান্না করা যাচ্ছে না। ফলে রীতিমতো না খেয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে।

 

 

অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরছে। তাই মঙ্গলবার তিতাস গ্যাস কার্যালয় ঘেরাও করার পর অনেকে আশা করেছিলো হয়তো চুলায় গ্যাস ফিরে আসবে। কিন্তু তা আর হয়নি। গত দুই দিনেও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস ছিলো না। বরং তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও করার পর যেনো পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।

 

 

কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের উপর নাখোঁশ হয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। এদিকে যতো দিন যাচ্ছে ততোই গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে সরকার। অবস্থা এখন এমন দাড়িয়েছে যে মাসে মাসে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। এতে এভাবে জ¦ালানীর দাম বাড়ানোর কারনে বাড়ছে সব কিছুর দাম।

 

 

চাল ডাল তেল নুন চিনি সহ সব কিছুর দাম এতোটাই বাড়ছে যে মানুষ সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে। তার উপর রান্না করার গ্যাস না থাকায় অন্য কোনো জ¦ালানীও ব্যাবহার করতে পারছে না। ফলে প্রায় সব দিক থেকেই এখন সীমাহীন দূর্ভোগের মাঝে জীবনযাপন করছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ।

 

 

এদিকে ফতুল্লা থানার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন এনায়েতনগরের কোনো এলাকায়ই এখন রান্না করার গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।

 

 

তাই রান্নার অভাবে খাবারের কষ্ট এখন ঘরে ঘরে। একই কথা ফতুল্লার বাকী সব কয়টি ইউনিয়নে। তাই সকলেই মনে করেন তিতাস গ্যাস কার্যালয় ঘেরাও করে আসলে কোনো লাভ হয় নাই। বরং গ্যাস অফিস ঘেরাও করার পর যেনো পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর