মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

গ্লাস ভেঙে পানির উপরে উঠে  অজ্ঞান হন লঞ্চের চালক জাকির

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় লঞ্চ সাবিত আল হাসানের চালক জাকির হোসেনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। লঞ্চের মাস্টার জাকির হোসেনের বরাত দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল  মৈত্র বলেন, ৪ এপ্রিল ৫ টা ৫৬ মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে লঞ্চ নিয়ে যাত্রা করি। চায়না সেতুর কাছাকাছি আসার সময় পেছন থেকে একটা কার্গো জাহাজ বেপরোয়া গতিতে আসতে থাকে। কিন্তু কার্গো জাহাজটি পেছন থেকে কোন হর্ণ বাজায়নি। কার্গো জাহাজটি গতি না থামিয়ে এরপরপরই লঞ্চের মাঝবরাবর মেরে দেয়। ধাক্কা দেয়ার পর লঞ্চের তলা ফেটে যায়। এরপর পুরো লঞ্চটি তলিয়ে যেতে থাকে।  সে সসময় আমি লঞ্চের আমার ড্রাইভিং রুম থেকে বের হওয়ার জন্য সিটকিরি খোলার চেষ্টা করি। তবে সেটি খুলতে না পেরে সামনের গ্লাস ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করি। এরপর এরপর কে বা কারা আমাকে হাসপাতালে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে সেটি আমার মনে নেই। পরে আমি জানতে পেরেছি আমার লঞ্চের গ্রিজার নয়ন মারা গেছে।
বক্তব্যে জাকির হোসেন জানান, আমি সামনে থাকায় পেছন থেকে ধাক্কা মারা কার্গো জাহাজের নাম দেখতে পারিনি। ধাক্কা দেওয়ার পর আমি পানির নিচে তলিয়ে যেতে থাকি, এরপর কিভাবে উদ্ধার হয়ে হাসপাতালে গিয়েছি সেটি মনে করতে পারছিনা। আমার মাথা ও শরীরের নানা জায়গায় জখম হয়েছে। 
প্রসঙ্গত, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নিচে যাত্রীবাহি লঞ্চ সাবিত আল হাসানকে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেয় ঘাতক জাহাজ এসকেএল-থ্রি। এঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৪জন স্টাফসহ ঘাতক কার্গো জাহাজ এসকেএল-থ্রিকে মুন্সিগঞ্জে আটক করে পাগলা কোস্টগার্ড। পরে নৌথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে জাহাজটি নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। লঞ্চডুবির ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য।

এই বিভাগের আরো খবর