শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ঘরে ঘরে জ্বর-ঠাণ্ডা, বাড়ছে আতঙ্ক

রাকিবুল ইসলাম

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২২  

কেউ ভুগছে ঠান্ডায়, আবার কেউ ভূগছে জ্বরে। এরই মধ্যে করোনার ৪র্থ ঢেউ সারা দিচ্ছে। বাড়ছে করোনাও। এমন সমস্যা নারায়ণগঞ্জ নগরী সহ আশপাশের এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে। এর থেকে পরিত্রান পেতে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন মানুষকে সচেতন হতে হবে। জ্বর ঠান্ডা নিয়ে মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে।

 

এই আতঙ্কের মাঝে শহরের পাড়া মহল্লায় এমনকি প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ। সব বয়সি মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত অনেক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে উপজেলার হাটবাজারের ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামল ও এন্টিবায়োটিক ওষুধের চাহিদা দেখা দিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকে গোপন রেখে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ সেবন করছেন।

 

অন্যদিকে অস্বাভাবিকভাবে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথার রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬৫ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নগরীর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীরই করোনা পরীক্ষা ও হাসপাতালে যেতে অনীহা। আর যারা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন তারাও আবার করোনা পরীক্ষা করতে খুব একটা আগ্রহী নন। 

 

তাছাড়া সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এমন ঘর কমই আছে যে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগী নেই। আক্রান্তরা গ্রামের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে তা সেবন করছেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু কম হলেও বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। এখন মহানগরী ও শহরতলীতে বলা চলে এক প্রকার ঘরে ঘরে জ্বর। 

 

বেশির ভাগ বাড়িতে একাধিক ব্যাক্তি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। দেওভোগ পালপাড়া এলাকার জামিল হোসেন জানান, জ্বর না কমায় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তার বলছেন, টাইফয়েডের লক্ষণ। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এরই মধ্যে চলে গেছে বড় অঙ্কের অর্থ।

 

জানাগেছে, অধিকাংশ বাড়িতে জ্বর থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তথ্য মিলেছে। এ কারণে হাসপাতালে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।

 

জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান জানান, ঠান্ডা জ্বরের ক্ষেত্রে সকলকে সবার আগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর জ্বর সন্দেহজনক হলে তখন করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠান্ডার ক্ষেত্রে বেশি বেশি গরম পানি এবং রং চা পান করতে হবে। এসএম/জেসি 
 
 

এই বিভাগের আরো খবর