মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

‘ঘুমন্ত ফতুল্লার জনপ্রতিনিধিরা’

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২১  

# পরিত্যক্ত হতে চলেছে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন এলাকা


এতোদিন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। এখনই বা কতোটুকু জেগেছেন কেউ জানে না। ফতুল্লা অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন শামীম ওসমান। আর তার সঙ্গে রেখেছেন উপজেলার তিন চেয়ারম্যান আর ভাইস চেয়ারম্যানকে এবং পাঁচটি ইউনিয়নের পাঁচজন চেয়ারম্যানকে। ফলে পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলতে হয় মূলত নয়জন জনপ্রতিনিধির হাতে ফতুল্লা অঞ্চলের উন্নয়নের দায়িত্ব। আর মূল দায়িত্ব এমপি শামীম ওসমানের হাতে।

 

কারণ উপজেলার তিন জনপ্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ চেয়ারম্যানকে তাদের পদে বসিয়ে রেখেছেন শামীম ওসমান এমপি। ফলে এই এমপির উদাসীনতার কারনেই উন্নয়ন বঞ্চিত রয়ে গেছে ফতুল্লা থানা এলাকা। ফতুল্লাবাসীর মতে এই মুহুর্তে ওই থানা এলাকার মূল সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। কম বেশি পাঁচটি ইউনিয়নেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। তবে বক্তাবলী ইউনিয়নটি গ্রাম অঞ্চল হওয়ায় এই ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা কিছুটা কম হচ্ছে। কিন্তু বাকী চারটি ইউনিয়নে তীব্র জলাবদ্ধতা হচ্ছে।

 

কাশীপুর, এনায়েতনগর, ফতুল্লা আর কুতুবপুরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এর মাঝে ফতুল্লা ও কুতুবপুর ডিএনডির ভেতরে হওয়ায় এই দুটি ইউনিয়নের পূরো এলাকাই বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। এনায়েতনগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সারা বছর পানি জমে থাকে। যেমন মুসলিমনগর নয়াবাজার এবং বিসিক রোড। আর এই মুহুর্ত্বে এই ইউনিয়নের বৃহত্তর মাসদাইর এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা হচ্ছে।

 


এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একজন চেয়ারম্যান এবং দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এরা হলেন আজাদ বিশ^াস, নাজিমুদ্দিন এবং ফাতেমা মনির। গত চৌদ্দ বছর ধরে তারা এই উপজেলার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো কাজই করছেন না। সরকারের কাছ থেকে কেবল বেতন ভাতা ও নানা সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। আর তাদেরকে টিকিয়ে রেখেছেন শামীম ওসমান এমপি। এছাড়া কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে অপরিকল্পিত উন্নয়ন করে চলেছেন।

 

তবে উন্নয়ন করার জন্য তাদেরকে তেমন কোনো বাজেট দেয়া হচ্ছে না। শামীম ওসমান এসব ইউনিয়নের উন্নয়ন করাচ্ছেন এলজিআরডি, উপজেলা সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে। তবে সব উন্নয়নেই চেয়ারম্যানদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যানরা তাদের এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে এতোদিন কোনো কথাই বলেননি। তারা যেনো ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে এরই মাঝে পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ আকার ধারন করেছে যে জলাবদ্ধতার কারনে ফতুল্লা থানার গোটা এলাকার মানুষের জীবনযাপন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ফতুল্লা, কুতুবপুর ও এনায়েতনগর পরিত্যাক্ত এলাকা হিসাবে পরিগণিত হতে চলেছে। 

এই বিভাগের আরো খবর