শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঘোষণা দিয়েও বিএনপির প্রোগ্রাম ঠেকাতে পারলোনা কুতুবপুর আওয়ামী লীগ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৩  

 

# বিএনপিকে আর প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হবেনা এমনটাই বলেছিলো কুতুবপুর আ.লীগ

 

 

বেশ কিছু দিন আগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা বাংলদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানো উচিৎ এমন বক্তব্যের পর সারাদেশেই আওয়ামী নেতাকর্মীরা অনেকটাই ফুঁসে উঠে। এমনকি বিভিন্ন জায়গাতে তারা প্রতিবাদ সভাও করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি সকাল থেকেই জেলার থানা উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও এ প্রতিবাদ সভা পালন করে।

 

বিশেষ করে ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন একটি বৃহৎ ইউনিয়ন আর এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ অনেকটা শক্তিশালী এমনটাই সব সময় বলে আসছে। তবে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম না করে বিভিন্ন সময় বিতর্কের মধ্যে তাদের পরতে হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিতে আর তারা বসে থাকেনি। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগেরে উদ্যেগে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা এবং সেই প্রতিবাদ সভায় কুতুবপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতা উপস্থিত ছিলেন।

 

আর সেই প্রতিবাদ সভায় কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিম উদ্দিন ও কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন কুতুবপুরে বিএনপিকে আর কোন ধরনের প্রোগ্রাম বা সমাবেশ মিটিং মিছিল করতে দেওয়া হবে না কিন্তু তাদের এই কথা কোন ধরনের পাত্তা না দিয়ে ৩০ শে মে জিয়াউর রহমানের ৪২ শাহাদাৎ বার্ষিকিতে কতুবপুরে ব্যাপক ভাবে পালন করেছেন এবং ৩ দিন যাবৎ তারা এই শাহাদাৎ বার্ষিকির প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে পালন করে যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এতেই আবারো প্রমান হলো কুতুবপুর বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের থেকে ব্যাপক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। তারা বক্তৃতায় বিএনপিকে বাধা প্রদান করার কথা বললেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্রই দেখা গেল কুতুবপুরে।

 

তবে এ বিষয়ে কুতুবপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এই এলকার অনেক আওয়ামী লীগ নেতা আছে যারা বিএনপিকে তার সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদেরকে সুবিধা করে দিচ্ছে আর ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছে। আর এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কুতুবপুরে আর অস্বিত্ব থাকবে না। ক্ষমতায় না থেকেও বিএনপির রাজত্বে থাকবে পুরো কুতুবপুর। তাই আমাদের আগে উচিত দলের ভিতর যারা বিএনপি মার্কা আওয়ামী লীগ আছে তাদের চিহ্নিত করে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ এবং যোগ্য লোকদের দলে ফেরানো উচিৎ তাহলেই শক্তিশালী হবে কুতুবপুর আওয়ামী লীগ।এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর