শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চাষাঢ়া বালুর মাঠে পাওয়া যাচ্ছে মুন্সিগঞ্জের বিখ্যাত স্পঞ্জ গোল্লা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  


 
বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙ্গালী হিসেবে পরিচিত থাকলেও বাংলার মানুষের পছন্দের খাবারের তালিকার শেষ নেই , তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মিষ্টি।  মিষ্টির নাম শুনলেই সবার জিভে জল চলে আসে । আর যদি হয় সেটা স্পঞ্জ গোল্লা তাহলে তো কোন কথাই থাকে না। আর এই জেলার মানুষ অনেকটা ভোজন রশিক, এখানকার মানুষ খাওয়ার প্রতি অনেকটাই রুচিশীল । তাই নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার বালুর মাঠ এলাকায় গড়ে উঠেছে শত-শত রেস্টুরেন্ট এবং সড়কে রয়েছে স্ট্রিট ফুড যা এখানে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

 

আর এতকিছুর মধ্যেও জায়গা করে নিয়েছে প্রফেসর জাহিদের স্পঞ্জ গোল্লা মিষ্টি যা বর্তমানে অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রফেসর জাহিদ এর আগে বিভিন্ন কলেজে লেকচার দিয়েছেন বর্তমানে তিনি কলেজ রোড এলাকায় আইসিটি শিক্ষা দিয়ে থাকেন এবং পার্ট টাইম হিসেবে তিনি এই মিষ্টি ও গোল্লা বিক্রি করেন। আর এই স্পঞ্জ মিষ্টি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের ভোজন-রশিক মানুষের কাছে।


এ বিষয়ে দোকানের সত্ত্বাধিকারী প্রফেসর জাহিদ যুগের চিন্তাকে জানান, আমরা এই স্পঞ্জ গোল্লা কম মূল্যে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে পৌছে দেওয়া আমার লক্ষ্যে। তারা যেন বিভিন্ন খাবারের টেষ্ট নিশ্চিত করতে পারে। এই কারণে আমি এই উদ্যোগটা নিয়েছি। আর টেষ্ট এমন একটি জিনিস যার কাছে একটা খাবার টেষ্ট লেগে যায় সেটা যত দূরে হোক না কেন। মানুষ সেখানে যাবেই। মনে করেন আমার যদি কাচ্চি বিরানি খেতে চাই। তাহলে আমাদের আগে কিন্তু পুরান ঢাকার কথাটা মনে পরবে ওদের সাথে কিন্তু অন্য কোনো টেষ্ট মিলবে না। তেমনি মুন্সিগঞ্জ অনেক বিখ্যাত মাওয়া অনেক বিখ্যাত এমন কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ও এমন ভালো মিষ্টি রয়েছে।

 

কিন্তু আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষদের একটা টেষ্ট রেটিং এর জন্য প্লাস ভালো জিনিসটা এট্যাচ কারার জন্য। আমি ভাবলাম আমি একজন আইসিটির প্রফেসর প্লাস আমি কম্পিউটার ট্রেনিং করাচ্ছি যেমন ফ্রিল্যান্সিং আরো বিভিন্ন কিছু। আমি চিন্তা করলাম সব সময় যদি ভালো কেনো প্রডাক্ট আমি পাবলিকদের সারফ করতে পারি। সবাই যদি কম প্রাইজয়ে সেটা পায়। তাদের জন্য ভালো হবে। আবার আমাদের নারাযণগঞ্জের মধ্যে ও একটা রেবুলেসনের মতো হবে। 


কারণ আমি এটা শুরু করার পরে অনেক জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আসতেছে। এটা করতে গেলে আমাদের সবার জন্য একটা ভালো দিক। আরেকটা হলো আমাদের নরায়ণগঞ্জে পার্ট টাইম জব কিন্তু এবেল এবেল ছিলো না। যেহেতু আমি টিচার আমার কাছে অনেক স্টুডেন্ট জব চাইতো আমি তাদের জব ব্যবস্থ্যা করে পারতাম না। 

 

আর এই বক্সটার উদ্যোশটা হচ্ছে একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা। এখানে এখন পর্যন্ত আমরা দুইটি লোক রেখেছি পার্ট টাইমে সকাল থেকে শুরু করলে আরো দুইজন করবো। এমন করে আমি নারায়ণগঞ্জে ফাস্ট টাইম পার্ট টাইম জবের সুযোগটা তৈরি করতে চাচ্ছি। আমরা মিষ্টিগুলো মুন্সিগঞ্জ থেকে কুড়িতে নিয়ে আসি। কুড়িতে বিক্রি করি। আমাদের মাঝারিটার প্রাইজ হচ্ছে ১৫ টাকা করে। আর শাহীটা ওইটার প্রাইজ ২০ টাকা করে। এই দুইটার মধ্যে চেষ্টের কেনো পার্থক্য নাই। শুধু সাইজের পার্থক্য। আমাদের কাছে অর্ডার দিলে আমরা এটা সারফ করছি। আমাদের কাছ আছে মিষ্টি, রস মালাই, গোল, খির,দই এগুলো সব অর্ডার দিলে আমরা দিতে পারবো।

 

এইটা পেতে হলে আমাদের একদিন আগে অর্ডার করতে হবে। কারণ আমরাতো এটা তৈরি করি না। আমরা মুন্সিগঞ্জ থেকে এনে আমাদের দিতে হবে। এটা আমি প্রথম অনলাইন পেজের মাধ্যমে শুরু করে পরে। আমি ভালো সারা পাচ্ছিলাম তাই আমি আরো পরিচিতি পাওয়ার লক্ষ্যে প্রায় ২৫ দিন ধরে এই ফুড বক্স চালু করি।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর