বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে গ্রহণযোগ্য বলছে নেতারা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 

# তাদের উপর আস্থা রেখেই কমিটি দিয়েছে : টিপু
 # মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের কমিটি ভালো হয়েছে : মামুন

 

 

বাংলাদেশ জাতীয়দাবাদী দল বিএনপির সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল। বিগত দিনে এই ছাত্রদল বিএনপির রাজনীতিতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এই ছাত্রদল মেয়াদউত্তীলর্ণ ও বিলুপ্ত অবস্থায় পরেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র রাজনীতিকে আবারও উজ্জ্বীবিত করার লক্ষ্যে নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের যোগ্যনেতৃত্ব দ্বারা কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। যার কারণে বিএনপির আরো শক্তিশালী হয়ে গড়ে উঠবে দাবি তৃণমূল ছাত্রদলের। জানা যায়, তারা কমিটি পাওয়ার পরই নেতাকর্মীদের ধারে ধারে যাচ্ছেন আর তারা তাদেরকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা বলছে এই কমিটির মাধ্যমে শহরে দলীয় সকল কর্মসূচিতে বিল্পব ঘটবে। আর তাদের যোগ্যতায় প্রমান হবে বিএনপির একটি সুসংগঠিত দল।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ২৬ জানুয়ারি মহানগর ছাত্রদলের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রাকিবুর রহমান সাগরকে সভাপতি ও রাহিদ ইসতিয়াক সিকদারকে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সাগর ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও রাহিদ ছিলেন বন্দর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তারা বিগত দিনে মহানগরের সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদের নেতৃত্বে বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে। আর তাদের মাধ্যমে মহানগর ছাত্রদল অনেকটাই উজ্জ্বীবিত ছিল। আর এই সাগর ও রাহিদ দলের দূর সময়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।

 

এছাড়া আরো জানা গেছে, এই সাগর ও রাহিদ ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ আর বন্দরসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সাধারন জনগণের খোঁজ খবর রেখেছে ও জনগনের পাশে অনেক পরিশ্রম ও করেছে। তাই বিএনপির অনেকর্মীদের দাবি এই সাগর-রাহিদ মহানগর বিএপির রাজনীতিকে আরো উজ্জ্বীবিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে। অপরদিকে একই দিনে দেওয়া গঠন করা হয়। অপর দিকে একই দিনে দেওয়া হয় জেলা ছাত্রদলের ৯ সদস্য বিশিষ্ট আরেক চমক কমিটি এই কমিটির সভাপতি করা হয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাহিদ ভূইয়াকে ও সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে আড়াইহাজার থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোবায়ের জিকুকে।

 

যার বিগত দিনে এই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক সুনাম অঞ্জন করেছেন। এছাড়া ও এই নাহিদ ও জিকু গত বছর থেকে শুরু করে চলতি বছর পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। আর জেলায় তাদের আন্দোলনে বিএনপির ঘাঁটি আরো শক্ত হবে। আর তারা আগামীতে যারা নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করে এসেছে তাদের থেকে ও আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারবে। এ ছাড়া ও এই জেলা ও মহানগর ছাত্রদল কমিটি পাওয়ার প্রথমেই একত্র হয়ে (৩০ জানুয়ারি) আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করেই জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদের পক্ষে হাজারো নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে শোডাউন করেন।

 

তাদের প্রথমেই এই সাহসী ভূমিকা দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরো উৎফুল্ল হয়ে উঠেছেন। আর এই নেতৃত্বকে যোগ্য নেতৃত্ব বলে আখ্যা দিচ্ছেন। এদিকে জেলা ছাত্রদলের নবাগত কমিটিতে আসতে না পেরে কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। বিএনপির নেতৃবৃন্দ আশাবাদী অচিরেই তারা ও তাদের ভুল বুঝে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে কাজ করবে। নেতাকর্মীরা আরো দাবি করছে, কমিটির মাধ্যমে ছাত্রদের কলেজ ও স্কুল রাজনীতি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলার রাজনীতি আরো সোচ্চার হবে।

 

এ বিষয়ে মহানগর বিএপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান যুগের চিন্তাকে বলেন, মহানগর ছাত্রদলের কমিটিটা সেন্ট্রাল ছাত্রদল যাচাই বাচাই করে তারা পূর্বে বিএনপির জন্য কি কি করেছে সেই সকল কিছু যাচাই করে ও মহানগর বিএনপির সাথে কথা বলে। তাদের কে যোগ্য ভেবেই দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্র যখন তাদের উপর আস্থা রেখে তাদের হাতে কমিটির দায়িত্ব দিয়েছে। আমি মনে করি তারা এই দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করবে। আর তারা শীগ্রই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রদলের কমিটিগুলো সুসংগঠিত করবে। আর ছাত্রদল বিএনপির যেহেতু সহযোগী সংগঠন। আর ছাত্রদল সব সময় রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর বর্তমান কমিটি ও রাজপথের সরব থাকবে।

 

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রাণকেন্দ্র হলো শহর। আর এই শহরে কারা আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে। সেদিকে লক্ষ্যে রেখে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব দিয়েছে। আমরাও তাদের সকল সক্রীয়তায় খুশি ছিলাম আমরা ও তাদের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছি। আর জেলা ছাত্রদল বিচার বিশ্লেষন করে দেখতে হবে। তার সক্ষম কি না। রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার থেকে এসে তারা শহরে কর্মসূচি দিলে তারা এসে পালন করতে পারবে কিনা এটা বিচার বিশ্লেষনের বিষয়।

 

আর এখন কমিটি হয়ে গেছে দেখা যাক সামনে তারা কি করতে পারে। আর মহানগর ছাত্রদল এখন কমিটি পেয়েছি আশা করি তারা ঝিমিয়ে থাকবে না। তারা ও রাজপথে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। আর যদি তারা দলকে সুসংগঠিত করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নিবে তাদের ব্যাপারে। আর আমি বিশ্বাস করি দলের হাই কমান্ড তাদের উপর আস্থা রেখেই কমিটি দিয়েছে। আর তারা আন্দোলন সংগ্রাম ব্যাপক হারে পালনের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটাক এটাই আমাদের আশা।

 

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন যুগের চিন্তাকে বলেন, মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের কমিটি ভালো হয়েছে। এখন আগামীতে তাদের কার্যকালাপের উপরে ডিপেন্ড করবে তাদের পদ চলা। আর কেন্দ্রের থেকে যেহেতু কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আশা করছি ভালোই হবে। কারণ তারা সবার শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমেই কমিটি দিয়েছে। আর কেন্দ্রের সকল কার্যকালাপে আমাদের পূর্ন সমর্থন রয়েছে। আর ছাত্রদল আমার একটি প্রিয় সংগঠন এই ছাত্রদল থেকেই আমার পদ চলা আমি সরকারি তোলারাম কলেজে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং শহর ছাত্রদলে ও নেতৃত্ব দিয়েছি। তাই আমি জেলা ও মহানগর কমিটিকে জোর আবেদন করবো তারা যাতে কলেজ ভিত্তিক রাজনীতি করে এবং প্রত্যেকটা কলেজের যাতে কমিটি সুন্দর হয় এবং ক্লাস কমিটিসহ কলেজ ভিত্তিক যাতে রাজনীতিটা হয়। আর কলেজের ছাত্রদের নিয়ে যাতে শাখা বা শক্তিশালী ইউনিট কমিটি গড়ে তোলা হয়।

 

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব যুগের চিন্তাকে বলেন, আর কেন্দ্র যোগ্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমেই কমিটিটা গঠন করেছেন। আর জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটির সাথে আমাদের কোন হাত নেই এটা পুরো কেন্দ্রের দেওয়া কমিটি। আমি আশা করছি তারা যাচাই বাচাই করেই তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর তারা আগামীতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে।

 

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি যুগের চিন্তাকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা কমিটি পেয়েছে তারা তাদের দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। আর সামনে যে আন্দোলন সংগ্রাম হবে সেখানে তারা তাদের যোগ্যতা কাজে লাগাবে। জেলা নাহিদ-জিকু, সাগর-রাহিদ তারা রাজপথে আমরা দেখেছি অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এবং তারা একাধিক মামলার আসামী হয়ে তারা আন্দোলনে সরব ছিল। আমি আশা করছি আমরা আগে যা করেছি আমাদের থেকে ও বেশি ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে তারা। আর এই কমিটিতে যারা আসতে পারেনি দুই একজন আমি বিষয় নিয়ে শীঘ্রই কেন্দ্রের সাথে কথা বলবো। আর যারা দায়িত্বে আছে তাদের সাথে কথা বলবো তারা যাতে ভালো একটি স্থানে তাদেকে মূল্যায়ন করে। আর তাদেরকে সাথে নিয়ে যাতে কাজ করে।

 

আর যারা এখন পদ পেয়ে ও না পেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। তারা মনে হয় জানে না বর্তমানের প্রেক্ষাপটে সভাপতি বা সেক্রেটারি হওয়াটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ন। তারা ও সেটা বুঝতে পারবে আর তাই শীঘ্রই দুই একদিনের মধ্যে তাদের ভূল বুঝতে পেরে আবার একত্রিত হয়ে যাবে।

এস.এ/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর