শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনদুর্ভোগে নীরব, রাজনীতিতে সরব

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২১  

রাজনীতির মাঠে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা সরব থাকলেও অজ্ঞাত কারণে জনদুর্ভোগ সমাধানে নীরব থাকেন তারা।এনিয়ে চরম অসন্তোষ কাজ করছে ফতুল্লার ইউনিয়নগুলোতে। বেশ কয়েকবছর যাবৎ ফতুল্লাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিবে ডিএনডি বাধ প্রকল্প এমন কথা বেশ ঘটা করে বললেও এবার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে। ফতুল্লাবাসী বুঝতে পেরেছে সহসা তারা বারোমাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হচ্ছেননা।

 

সূত্র জানিয়েছে, ফতুল্লাবাসী কেমন করে এই জলজটে বসবাস করছেন তা দেখার জন্য এখনো পরিদর্শন করেননি এমপি শামীম ওসমান। কিন্তু গত নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশের সময় তিনি কযেকহাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন বলে জোর প্রচারণা চালিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের অনুসারী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলালসহ বহু প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ফতুল্লা এলাকায় আনাগোনা। স্থানীয়ভাবে তাদের বহু নেতাকর্মীর ওই জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাস। নানা সময় তারা এই জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি তুললেও তারা কেউ কানে তোলেননি। যার ফলে ফতুল্লা এলাকার ইউনিয়নগুলোর মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেননা।  


সূত্র জানায়, গত কয়েকবছর যাবৎ ফতুল্লা, ইসদাইর, লালপুর, বিসিক এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জলাবদ্ধতার কারণে যেসব রাস্তাঘাট করা হয়েছিলো সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এসব এলাকার মানুষের বাড়িতেও ভাড়াটিয়া থাকছেনা। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সকল কাজ দুরুহ হয়ে পড়েছে। টাগারপাড় এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা পানিতে কি রকম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি তা এমপি সাহেব জানেন, কিন্তু তিনি কখনো সরেজমিনে আমাদের দেখতে আসেননা। একে ওকে দায়িত্ব দিয়েই শেষ। অনেক বড় এমপি কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করেননা। 


এদিকে ফতুল্লা বিসিক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এই পানির মূল কারণ খাল দখল। কারা খাল দখল করে আছে তা এমপি সাহেব খুব ভালো করে জানেন। মানুষ কষ্ট করছে, কিন্তু তিনি এসব সমাধানে কাজ করেননা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লার এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, মুখে যতই উন্নয়নের কথা বলুক না কেন শামীম ওসমান কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ লাঘব তিনি মাথা ঘামাননা। না হলে এতোগুলো মানুষ বছরের পর বছর কষ্ট করছেন তা নিয়ে এমপি শামীম ওসমানের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। 


লালপুর এলাকার এক বাড়িওয়ালা জানান, এমপি শামীম ওসমান যদি সত্যিকারেই মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকতো,তবে তিনি সবার আগে এখানকার ডায়িংগুলোর অত্যাচার থেকে মানুষকে রক্ষা করতো। এখানে এমন কেউ নেই যিনি এমপি’র কথা শুনবেননা। কিন্তু শামীম ওসমানই মূলত এখানকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব  হোক সেটি তিনি চাননা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এমপি শামীম ওসমানসহ এখানকার যত হেভীওয়েট আওয়ামী লীগ নেতারা আছেন তারা যেন ফতুল্লাবাসীর এই দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর