শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জিমখানায় মাদক ব্যবসায়ীর দম্ভোক্তি পুলিশরে মাসোহারা দিয়া ব্যবসাকরি

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২  

জিমখানায় মাদক ব্যবসায়ীর দম্ভোক্তি ‘পুলিশরে
মাসোহারা দিয়াই ব্যবসা করি’

# সমাজে অপরাধীরাই ঊচ্চকন্ঠ
পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত : সমাজে দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীরাই এখন ঊচ্চকন্ঠ। গত সোমবার শহরের নতুন জিমখানায় এ কথাই আবার নতুন করে প্রমানিত হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, জিমখাার মৃত সোবহান ড্রাইভারের দুই ছেলে রিপন(৪৫) ও রাব্বি(৩৫) দুজনেই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ব্যবসার সুবিধার্থে এরা তাদের কোয়ার্টারে একটি লোহার কেচিগেট স্থাপন করেছে। এ গেটে আবার টকেট কাউন্টারের মতো একটি কাউন্টার রাখা হয়েছে। এরা গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিল এ চার ধরনের মাদক বিক্রি করে। টাকা সহ কাউন্টারে হাত দিয়ে মাদক চাইলেই পাওয়া যায়। নিরাপত্তার জন্য এেেদর একটি পাহারাদার বাহিনী আছে। এ ছাড়া গেটের সামনে একটি সিসি ক্যামেরাও ফিট করা হয়েছে। এ চক্রটি পতিদিন ৫-৬ লাখ টাকার মাদক বিক্রি করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রিপন-রাব্বির প্রতিবেশী আশিক আহমেদের অভিযোগ, গত ২৫ জুলাই  (সোমবার) সন্ধ্যায় রিপন-রাব্বি তার বাসার সামনে চেয়ার টেবিল পেতে মাদক বিক্রি শুরু করলে সে তাদের বাধাঁ দেয় এবং চলে যেতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন-রাব্বি গালাগাল করতে করতে চলে যায়। এদিকে, আশিক আহমেদ মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে রাত সাড়ে আটটায় রিপন-রাব্বি ও থাদের অনুগত একটি কিশোর গ্যংয়ের১৪-১৫ জন দেশী অস্ত্র নিয়ে তার বাসায় চড়াও হয়ে গালাগালি করতে থাকে। এ সময় ভীতসন্ত্রস্থ আশিক আহমেদের স্ত্রী ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সহায়তা চাইলে তাৎক্ষণিক পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর এসে হাজির হন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই রিপন উচ্চকন্ঠে বলতে থাকে, কেউ আমাদের ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে না। আমরা পুলিশরে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করি। এদিকে, নিরাপত্তাহীনতার কারণে আশিক আহমেদ গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ থানায় এ ব্যপারে একটি সাধারন ডাইরী করেছেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর