শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

টিকাতে আগ্রহ, স্বাস্থ্যবিধিতে নারাজ

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২১  

সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে ৪৩ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৭১ অস্থায়ী কেন্দ্রে গণ টিকাদান বা 'ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন' শুরু হয়েছে। জেলার ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। শনিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে।

 

তবে টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষও তৎপর কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ। আবার বৃষ্টির কারণেও অনেক জায়গায় সমস্যা হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে ভিড় দেখা যায়। অনেকে আবার ভিড়ের কারনে চলে যায়। বিভিন্ন কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে দেখা গেছে। সচেতন মহলের মতে কোভিড টিকা নিতে মানুষের মাঝে যে ভয় ছিল এখন আর তা নেই। কিন্তু টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বারলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ। বেশিরভাগ কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে দেখা যায় নাই। আর তা নিয়ে অনেকের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এখান থেকে আবার করোনা হয় কিনা। সচেতন মহলের মতে টিকাতে আগ্রহ বারলেও স্বাস্থ্যবিধিতে নারাজ। গোগনগর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা দিতে এসে  সেলিম জানান, টিকা দিতে আসছিলাম, কিন্তু এখানে এসে "চরম হযবরল অবস্থা দেখি। স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই। ভিড় আর হুড়োহুড়ির কারণে এক ঘণ্টা বসে থেকে টিকা দিতে হলো।

 


শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের টিকা নিতে আসা সেলিনা জানান, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র একদিন আগেই দিয়ে গেছি। আগে জমা দেয়া হলেও টিকা কেন্দ্রে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। ঘন্টা খানিক লম্বা লাইনে দাড়িয়ে টিকা নিতে হয়েছে। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের সারিতে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় ছিল না। একইভাবে গোগনগর ইউনিয়নের মত আলীরটেক, বক্তাবলী, এনায়েত নগর , ফতুল্লা, কুতুবপুর ইউনিয়নের কেন্দ্র গুলোতে ভিড় দেখা যায়।

 


স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, টিকা গ্রহীতাদের কাছ থেকে পরিচয়পত্রের ফটোকপি রাখা হচ্ছে যেগুলো তারা নিজেরাই পরে মূল ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করে দেবেন। কর্তৃপক্ষের দিক থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে অনেক কিন্তু অনেকেই এক সাথে কেন্দ্রে আসায় ভিড় বেশি হয়েছে"। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহীতারা স্বাস্থ্য বিভাগের টিকা সম্পর্কিত এসএমএস পেয়ে যাবেন। জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লা জানান, পর্যায়ক্রমে এই টিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নিয়মমাফিক রেজিস্ট্রেশনপূর্বক টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 


উল্লেখ্য সারা দেশে থেকে শুরু হওয়া টিকাদান ক্যাম্পেইনে ২৫ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম নিয়েছে সরকার। টিকা নেয়ার জন্য ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ। সরকার প্রাথমিকভাবে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করলেও পরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। এখন দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে।    

 

এই বিভাগের আরো খবর