শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ট্রেড লাইসেন্স দিতে অনীহা, মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালামকে শোকজ 

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা বন্দরের ইউপি চেয়ারম্যানদের। জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতে মাত্র দুইদিনের মাথায় শোকজ নোটিশ করা হয়েছে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম সালাম কে। 

 

ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারকে হুমকি ধমকি দিয়ে দাম্ভিকতার সাথে বলেছেন ‘স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেও সালাম চেয়ারম্যান তার ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করবেনা’।


এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে এমএ সালাম চেয়ারম্যানকে এক শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে সালাম চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে ওই ঘটনার বিষয়ে কারণ উল্লেখ করে জবাব দিতে বলা হয়েছে। 


বন্দরের উপজেলার মদনপুরে অবস্থিত ‘মা হসপিটালস এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুহুল আমিন অভিযোগ করেন, মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স প্রতিবছর মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নবায়ন করে থাকেন। কিন্তু এবছর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম কোনরূপ কারণ না দেখিয়ে এবং কোন ধরনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না করে তার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানায়। এঘটনায় ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর বন্দর ইউএনও এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

 

এবিষয়ে ইউএনও তার ট্রেড লাইসেন্সটি নবায়ন করার জন্য সালাম চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন। এবং ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য সালাম চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। ওই  ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে সালাম চেয়ারম্যান ম্যানেজারের উপর ক্ষেপে যান। তিনি হুমকি ধমকি দিয়ে দাম্ভিকতার সাথে বলেন স্বয়ং ‘প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেও সালাম চেয়ারম্যান তার ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করবেনা’। যার প্রেক্ষিতে শোকজ নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে ওই ঘটনার বিষয়ে কারণ উল্লেখ করে জবাব দিতে বলা হয়েছে। 


গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে ‘উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে জেলা প্রশাসক এমএ সালামকে ইঙ্গিত করে বলেন, যতই শিল্প মালিকদের আটকাইয়া টাকা নিক, এসব উদ্যেক্তা ভালো। শুধু তিনি না, রূপগঞ্জের তিনজন চেয়ারম্যান আছে যারা ব্যবসায়ীদের জোরালোভাবে ঠেকাইয়া টাকা নেয়। ওই ব্যবসায়ী অনেক বড় আমরা সেটা জানি। আপনারা এসব জায়গায় হাত দিয়েননা। তিনি সদ্য জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স এর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের পরিণতির উদাহরণ টানেন।  

এই বিভাগের আরো খবর