Logo
Logo
×

অর্থ ও বাণিজ্য

ডাবের দাম বেশি হওয়ায় তালের শাঁসের চাহিদা

Icon

শ্রাবণী আক্তার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম

ডাবের দাম বেশি হওয়ায় তালের শাঁসের চাহিদা
Swapno


 
গ্রীষ্মের এই কাঠফাটা রোদের তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ। সূর্যের প্রখর দাবদাহ থেকে বাঁচতে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য যখন পানীয় খুঁজছেন, তখন সেই চাহিদা মেটাচ্ছে নির্ভেজাল, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকমুক্ত তালের শাঁস। গরমে মানবদেহ থেকে ঘামের সাথে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেড়িয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। এছাড়া তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনাও থাকে।শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কোমল পানীয় মানবদেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

 


একসময় প্রচণ্ড গরমে জনসাধারণের তৃষ্ণা নিবারণের অন্যতম পানীয় ছিল ডাবের পানি। তবে বর্তমানে ডাবের দাম প্রতি পিছ বিক্রি হচ্ছে ৮০/১০০ টাকায়। কোন কোন জায়গায় ডাবের দাম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। অত্যাধিক দাম হওয়ায় অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এখন শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও বেশ চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে ডাব। যে কারণে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে অতিপ্রিয় ডাবের পানি । তবে দামে সস্তা হওায় ঠিক সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে তালের শাঁস।

 

 


দামে কম ও নির্ভেজাল হওয়ায় তালের চাহিদা বেড়ে গেছে এই বছর। নারায়ণগঞ্জের খানপুর হসপিটাল রোড, কালিবাজার ও টানবাজারসহ বিভিন্ন জায়গার বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সারা বছর মূলত ডাব বিক্রি করেন তারা। ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তালের শাঁস বিক্রি করছেন। কম দাম হওয়ায় বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে বলে জানায়। প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ টাকা এবং একটি তাল ৪৫ টাকা করে বিক্রি করেন।

 

 


সাত্তার নামের এক রিকশাচালক জানায়, বৈশাখের এই গরমে গাড়ি চালালে খুব ক্লান্ত লাগে। আগে মাঝে মধ্যে ডাব কিনে খাইতাম কিন্তু ডাবের দাম এই বছর অনেক বেশি তাই তালের শাঁস কিনে খাই। তালের শাঁস আমার কাছে অনেকটা ডাবের মতোনই লাগে।

 


সাবিনা নামের এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই গরমে তাল খেলে মনে হয় ভিতরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। আমার বাচ্চারা তালের শাঁস খেতে খুব পছন্দ করে তাই অনেকগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া এটি দেশী ফল এই ফলে কোনো ভেজাল, ফরমালিন, রাসায়নিক সার বা কীটনাশক নেই।  গরমে পানিশূন্যতা পূরণে খুবই কার্যকরী। তাই গ্রীষ্মকালে এই ফল আমি আমার বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করি। এন.হুসেইন/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন