Logo
Logo
×

বিচিত্র সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিজানের ষ্টিকার বাণিজ্য

Icon

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৪৯ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিজানের ষ্টিকার বাণিজ্য
Swapno


মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুক গাড়ীতে কথিত সাংবাদিক মিজানের ষ্টিকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

 

 

মহাসড়কটির সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড স্ট্যান্ড থেকে বন্দরের মদনপুর স্ট্যান্ড পর্যন্ত চলাচলকারী অন্তত অর্ধশতাধিক অটোরিক্সায় মিজানের নামসহ একটি অখ্যাত পত্রিকার ষ্টিকার ব্যবহার করছে বলে হাইওয়ে পুলিশের অভিযোগ।

 


এমনই অভিযোগে গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে মিজানের দেয়া ষ্টিকার ব্যবহারকারী একটি ইজিবাইক আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠায়।

 


হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কথিত সাংবাদিক মিজানের দেয়া ষ্টিকার ব্যবহৃত ইজিবাইকটি আটকের পর সে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে অবস্থিত হাইওয়ে পুলিশের ডাম্পিং মাঠে গিয়ে দায়িত্বরত লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। তার এহেন কর্মকান্ডে হাইওয়ে পুলিশ হতবাক।

 


জানা যায়, রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকায় বসবাসকারী অখ্যাত এক দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়দানকারী কথিত সাংবাদিক মিজান দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুক গাড়ীতে ষ্টিকার বাণিজ্য করে আসছে।

 

 

প্রতি ষ্টিকারের জন্য প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা মাসোহারা দিতে হয় তাকে। তার ষ্টিকারে অর্ধশতাধিক গাড়ী মহাসড়কে চলাচল করে থাকে। হাইওয়ে পুলিশ গাড়ী আটক করলেই শুরু হয় মিজানের তদবির এবং সংবাদ প্রকাশের হুমকি। এ ভাবে সে প্রতিমাসে ষ্টিকার বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অটোরিক্সা চালকদের অভিযোগ।

 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথিত সাংবাদিক মিজান জানান, আমার ভগ্নিপতির ১৫টি গাড়ী ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর এসব গাড়ী আমি দেখাশুনা করি। পুলিশের ঝামেলা থেকে বাঁচতে আমার সম্পাদকের সাথে কথা বলে গাড়ীগুলোতে ষ্টিকার লাগিয়েছি।

 


হাইওয়ে পুলিশ, শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) একেএম শরফুদ্দিন জানান, মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা আটক করলেই শুরু হয় সাংবাদিদের তদবির। এরমধ্যে আবার পত্রিকার ষ্টিকার ব্যবহার করে কিছু গাড়ী মহাসড়কে চলাচল করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 


কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রেজাউল হক বলেন, মহাসড়কে এসব ষ্টিকারযুক্ত গাড়ীগুলোই বেশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে। আটক করলেই সাংবাদিক পরিচয়দানকারী তদবির শুরু করে। তাদের কথামত গাড়ী না ছাড়লেই নানান হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে। মহাসড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সব সময় বদ্ধপরিকর। প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব। মহাসড়কে গাড়ী পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।   এন.হুসেইন রনী /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন