শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তারা এবারও অটোপাশে চেয়ারম্যান হতে চায়

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

সারা দেশের ন্যায় নারয়ণগঞ্জের ইউনিয়নগুলোতেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন সভা করে নিজেদের অবস্থান তৈরী করছেন। সেই সাথে মাঠে ময়দানে হাটে বাজারে গিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছে। কেউ কেউ ব্যানার ফেস্টুন টানিয়ে নির্বাচনী সালাম গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছেন। একই সাথে প্রত্যেকেই গুরুর দরবারের আর্শীবাদের অপেক্ষায় আছেন। গুরু কখন তাকে গ্রীণ সিগন্যাল দিবে।

 

পাশাপাশি সদর উপজেলার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে মুদি দোকান থেকে শুরু করে হাটে ঘাটে মাঠে ময়দানে এমনকি চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। কোন কোন ইউনিয়নে নির্বাচন হবে, কোন ইউনিয়নে হবে না। কারা সিলেকশনে চেয়ারম্যান হতে চায়। যারা ভোটবিহীনভাবে সিলেকশনে চেয়ারম্যান হতে চায় তাদের অনেকে অটো পাশ চেয়ারম্যান নাম দিয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে নির্বাচনি মাঠ এখন অনেকটাই গরম।

 


এদিকে করোনার কারনে শিক্ষাবিদরা বিবেচনা করে গত বছরের এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাশ দেন। তাদের কোন পরীক্ষা নেয়া হয় নাই। সেখান থেকেই মূলত অটো পাশ শব্দটি পরিচিত। শিক্ষার্থীদের মত এবারও সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদল, বক্তাবলীর চেয়ারম্যান শওকত আলী , আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ভোটবিহীনভাবে ( কোন প্রার্থী দাঁড়াতে দিতে চাননা) অটোপাশে চেয়ারম্যান হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে একটি সূত্র জানান। তাদের সাথে একইভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন এনায়েত নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান।

 

সেই কায়দায় তারা নিজ আসনের এমপি এবং গুরুর দরবারে দৌঁড়ঝাপ করে যাচ্ছে। কিন্তু এই এলাকায় নির্বাচনের দাবী জানিয়ে তাদের বিপক্ষে একাধিক প্রার্থী মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচনের দাবী জানিয়ে সেই অবস্থানে অনড় আছেন। আবার কয়েক এলাকায় প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সকলেই চেয়ে আছে তাদের গুরু এমপি শামীম ওসমানের দিকে। তিনি কি সিদ্ধান্ত দেন সেই অপেক্ষায় আছে।

 


ক্ষমতাসীন দলের এবং দলের বাহিরে একাধিক ব্যক্তি জানান, বারবার একই ব্যক্তিরা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠায় এবং কোন প্রার্থী দাঁড়ানোর সুযোগ না দিতে চাপ প্রয়োগ করায় মানুষের মাঝে ভোটের আগ্রহ অনেকটা হারিয়ে গেছে। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে না। তারা বলেন, সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে পূর্বের চেয়ারম্যানরা আবারও সিলেকশনে চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য দৌঁড়ঝাপ করছে। সেই সাথে তাদের বিপক্ষের প্রার্থীদের ডাইরেক ইনডিরেক্টলি  হুমকি-ধমকি দিয়ে বসিয়ে দিচ্ছে। তবে মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটের মাধ্যামে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন চায় জনগণ।  

 


কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে আলীরটেক ইউনিয়নের মতি চেয়ারম্যানের নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়।

 


বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত জানান, আমি আল্লাহর উপর ভরসা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি মনোনয়ন চাইবো। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করবো। আমিও চাই নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী  হোক।

 

 
উল্লেখ্য, ২০১৬ সনে সদর উপজেলার কাশিপুরে সাইফ উল্লাহ বাদল ,বক্তাবলীতে শওকত আলী এবং আলীরটেক  ইউনিয়নের মতিউর রহমান বিনা ভোটে সিলেকশনের মাধমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের এলাকার তৃণমূলের অভিযোগ তারা এবারও অনেকটা অটোপাশের মত চেয়ারম্যান হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা সকলে। কিন্তু তাদের বিপক্ষের প্রার্থীরা সকলেই চায় নির্বাচন।
 

এই বিভাগের আরো খবর