বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তিন হেভীওয়েটের তিন প্রার্থী

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২১  

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডে এবার তিনজন প্রার্থী আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এরা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন, সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের বিয়াই ফয়েজ আহম্মেদ লাভলু। আর এই তিন প্রার্থীর পেছনে রয়েছেন প্রভাবশালী তিন জনপ্রতিনিধি।

 

এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একএম শামীম ওসমান। এদের মাঝে বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইনের পাশে রয়েছেন সিটি করপোরেশনের জনপ্রিয় মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী, সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার পাশে রয়েছেন সেলিম ওসমান এমপি এবং ফয়েজ উদ্দিন লাভলুর পাশে রয়েছেন তার বিয়াই শামীম ওসমান এমপি। তাই এই তিন প্রার্থীর মাঝে প্রতিদ্বন্ধ্বী হলে কে জিতবেন? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ড এলাকায় মেয়র আইভী ব্যাপক জনপ্রিয়।

 

ওই এলাকায় মেয়র ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং করে চলেছেন। বর্তমানে তিনি যে উন্নয়ন করছেন তা তিনি করছেন কাউন্সিলর কবির হোসাইনের মাধ্যমে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো কাউন্সিলর মুন্না মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি যখন কাউন্সিলর ছিলেন তখন তিনি ওসমান এমপিদের পক্ষে কাজ করতেন এবং সিটি করপোরেশনের অনেক তথ্য তিনি ওসমান এমপিদের কাছে পাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই মুন্নার বড় ভাই সাইদুল হাসান বাপ্পীকে শামীম ওসমান ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে বলে এক সময় খোদ মুন্নাই অভিযোগ করেছিলেন। তখন মেয়র আইভী ছিলেন মুন্নার পাশে। মুন্নাকে নিজের ছোটো ভাইদের চেয়েও বেশি আদর করতেন মেয়র আইভী। অথচ সেই মুন্নাই এখন ওসমনাদের অনুগত।

 

ফলে মুন্নার এই আচরণকে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি শীতলক্ষ্যার মানুষ। তাই তারা বিগত নির্বাচনে তাকে প্রত্যাখান করেছেন এবং বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন বর্তমান কাউন্সিলরকে। ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এখনো এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। মানুষ মনে করেন কবির হোসাইনই মেয়র আইভীর যোগ্য প্রতিনিধি। অপরদিকে সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার পাশে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান। আর সেলিম ওসমানের এই অবস্থানই মুন্নার জন্য কাল হবে বলে মনে করেন ওই এলাকার সাধারন মানুষ।

 

কারন প্রথমত ওই এলাকায় সেলিম ওসমান এমপির তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তার উপর ওসমান এমপিরা মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে মনে করেন এলাকাবাসী। আর এসব বিষয় মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না ওই এলাকার ভোটাররা। তাই সেলিম ওসমানের শেল্টারই এবার কামরুল হাসান মুন্নার কাল হবে বলে মনে করেন অনেক ভোটার এবং এবার তার পরাজয় হবে আরো বড় ব্যাবধানে।

 

অপরদিকে ফয়েজ আহম্মেদ লাভলু সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলের শ্বশুর। তাই শামীম ওসমান এবার তার পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লাভলু কখনোই এখানে জনপ্রিয় ছিলেন না। এই ওয়ার্ডে লাভলু আগেও নির্বাচন করে হেরেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত লাভলু নির্বাচন করবেন কিনা সেটা এখনো পরিস্কার নয়। কারণ জনগণের মাঝে তার কোনো অবস্থান নেই বলেই জানা গেছে। তবে লাভলু নির্বাচন করেন বা না করেন তিনি বরাবরই মুন্নাকে পছন্দ করেন না। তাই এবার তিনি যদি নির্বাচন না করেন তাহলে তার অবস্থান কার পক্ষে থাকবে সেটা সময় এলেই বুঝা যাবে। তবে মেয়র আইভীর সমর্থন এবং এলাকাবাসীর জন্য কাজ করার কারণে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসাইন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর