Logo
Logo
×

রাজনীতি

তৈমূরের জন্য আ.লীগ-জাপাতেও দুয়োধ্বনি

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম

তৈমূরের জন্য আ.লীগ-জাপাতেও দুয়োধ্বনি
Swapno


♦ ক্ষমতার লোভে দলের সাথে পল্টি মেরেছে : আনোয়ার  হোসেন
♦ দলের চেয়ে ক্ষমতাকে যারা ভালোবাসে তারাই এমন করে : সানাউল্লাহ সানু
♦ পলাতক আসামীর নেতৃত্বে কাজ করা অশিক্ষিতের কাজ তিনি বুঝতে পেরেছেন : এড. দিপু
♦ দল ভালো লাগে না দেখেই তো অন্য দলে যায় : আবদুল হাই 
♦ আমরা নতুন সকল দলকে স্বাগত জানাই : ভিপি বাদল

 

 

বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের দলত্যাগ তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করা নিয়ে বর্তমানে একের পর এক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির অনেকে বলছে বিএনপি থেকে দল বদল করে তৈমূর আলম খন্দকার দেশপ্রেমের বহিঃ-প্রকাশ রচিত করেছে।

 

নয়তো এই ধরনের দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে কিভাবে একজন সিনিয়র ব্যক্তি রাজনীতি করতে পারে আবার কেউ কেউ বলছে তৈমূর আলম খন্দকার দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। উনি যে দল থেকে এতো দিন পর্যন্ত নানা সুবিধা ও সম্মানিত হলেন এই দল থেকেই উনি ক্ষমতার লোভে পরে অন্য দলে যোগদান করলেন।

 

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল হয়। কাউন্সিলে শমসের মবিন চৌধুরীকে দলটির চেয়ারপারসন ও তৈমূর আলম খন্দকারকে মহা-সচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। এ সময় দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমার দল (বিএনপি) তো আমাকে বহিষ্কার করেছে। এরপর আমি দেড় বছর অপেক্ষা করেছি একটা শোকজ নোটিশের জন্য। কেন বহিষ্কার করেছে আমাকে জানান।

 

সেটার জবাব আমি দেব, আর আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসী সেটা জানতে পারবে। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করা বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও অনুষ্ঠানে আমি এই দলের পতাকা বহন করেছি। আমি মনে করছি আগে যে রাজনীতি করতাম সেই দলের সঙ্গে এই নামের ও আদর্শের মিল আছে এবং নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ছিলেন, তিনিও এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। এ জন্য এই দলে আমি যোগ দিয়েছি।

 

এই দলের প্রতিটি সদস্য তৃণমূলের অথরিটি কেউ কারও ওপরে খবরদারি করতে পারবে না। তৈমূরের এমন দীর্ঘদিনের দল ত্যাগ করা নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে এদিকে আবার এমনটা ও শোনা যাচ্ছে বিগত দিন থেকেই দল থেকে বেশি তৈমূরের ক্ষমতার লোভ বেশি যার কারণে গত সিটি কর্পোরেশনে ও উনি দলের কথা অমান্য করে দলের বাহিরে মনোনয়ন কিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

 

যার কারণে বিএনপি থেকে এই তৈমূর আলম খন্দকারকে বহিষ্কৃত ও করা  হয়েছিলো। অবশেষে এবার দীর্ঘ দেড় বছর পর উনি দলের দূসময়ে দীর্ঘদিনের পথ চলার সাথি বিএনপিকে বাদ দিয়ে তৃণমূল বিএনপির সাথে যোগদান করলেন। যা নিয়ে একটি পক্ষ নিশ্চুপ থাকলে ও আরেকটি পক্ষ তৈমূরকে নিয়ে নানা মত প্রকাশ করছে।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘একটা দুর্নীতিবাজ পলাতক আসামীর নেতৃত্বে কাজ করা যে একটা অশিক্ষিতের পরিচয়, এটা দীর্ঘদিন পর তৈমুর আলম খন্দকার সাহেব বুঝতে পেরেছে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি লন্ডনে বসে সেই দুর্নীতিবাজ কথা বলে আর এখানে দেশে কিছু মানুষ লাফালাফি করে।

 

আমি বলতে চাই যাদের দেশের প্রতি প্রেম ভালবাসা রয়েছে। তারা কখনো এই দুর্নীতিবাদের নেতৃত্বে কাজ করতে পারে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই হয়তো তৈমূর আলম খন্দকার সাহেব দল ত্যাগ করেছে। আমার জানা মতে, আমি যা মনে করছি সামনে এই বিএনপি ছেড়ে অনেকেই এমন অন্য দলে যোগদান করবে।’

 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘অনেক সময় হয় না; এক দল ভালো লাগে না আরেক দলে যায়। এটা তাদের বিষয় এখানে আমার কোন মতামত নাই। এটা বিএনপি লোকেরা বুঝবে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ।’

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘তৈমূর আলম খন্দকার সাহেবের বিষয়ে আমি আর কি বলবো উনি বিএনপির লোক, বিএনপির লোকেরা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে। এখানে আমাদের কিছু বলার নাই এটা যার যার মতের বহিঃপ্রকাশ, আমি শুধু বলতে চাই আমরা নতুন সকল দলকে স্বাগত জানাই।’

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসন যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির মধ্যে থেকে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। সবকিছু ভোগ করে এখন দলের দুঃসময়ে সে পিছপা হয়ে যাচ্ছেন। এদেরকে দাইয়া বলে থাকি আমরা যারা দলের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সময় মত দলের সাথে পল্টি মারে একতাই এগুলো হলো ক্ষমতার লোভ।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা যুগের চিন্তাকে বলেন, তৈমুর আলম খন্দকার সাহেব যে একদল ছেড়ে যে আরেক দলে যোগদান করলো। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই, এটা যার যার ব্যক্তি স্বাধীনতা।’

 

জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানোয়ার হোসেন সানু যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি উনি একজন বহিষ্কৃত নেতা হিসেবে বিএনপিতে রয়েছে। এমন আর কতদিন এমন বহিষ্কৃত থাকবে এ কারণে মনে হয় তার এই পদক্ষেপ। যারা দলকে ভালোবাসা না ক্ষমতাকে ভালোবাসে তারাই এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারে। আমার মনে হয় উনি জানতে পারছে। সামনে হয়তো বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করতে পারে। যার কারণে উনি ক্ষমতার লোভে পড়ে আরেক দল থেকে নির্বাচন করার লক্ষ্যে হয়তো দল পালাবদল করেছে।’ এস.এ/জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন