বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩  


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, দেশের অনেক মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত হয় না,শহীদদের কথা বলা হয় না,জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলা হয় না।

 

 

কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি জাতীয় সংগীত পাঠ, দেশকে ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করার শপথ গ্রহন,জাতির জনকের কথা বলা,টুঙ্গিপাড়া মাজার জিয়ারত ও মিলাদ দোয়া করা,খেলাধুলা করা--প্রত্যেকটি বিষয় পজেটিভ।

 

 

পজেটিভ এ অর্থে বলবো-অন্যান্য সাধারন স্কুলেও ওই সব বিষয় এমন ভাবে শিক্ষা দেয়া হয় কি' না তা আমি জানি না।এতে আমার প্রশান্তি হয়।আপনাদের সব বাচ্চাদের সাথে কথা বলে আমার প্রশান্তি মিলে।সে জন্য বারবার এ মাদ্রাসায় আসি।

 

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ডিআইটি এলাকার কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ওই কথা বলেন।

 

 

কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসা মিলনায়তনে ১৮ মার্চ সকালে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আলহাজ্ব নুরুজ্জামান ডিপটির সভাপতিত্বে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোবারক হোসেন,সুপারেনটেন্ড মুফতি মঈনুল হাসান।

 

 

সদস্য ইমতিয়াজ আলম সেহবুর।অনুষ্ঠানে অতিথি ব্যবসায়ী নিজামউদ্দিন মৃধা,রাজনীতিক খালিদ হাসান এবং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শের মোহাম্মদ,সানাউর রহমান সানা, আলমাস হোসেন, মোঃ জুলফিকার আলি, আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা খোকা,মনোয়ার হোসেন শোখন, ওসমান গনী। 

 

 

তৈয়র হোসেন, মীর ওমর ফারুক, হেফজ বিভাগের প্রধান হাফেজ হাবীবুর রহমান, জামেয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সদস্য মোঃ আবু সাঈদ কাদেরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী কুরআন তেলাওয়াত, নাত এ রাসুল(সঃ), জাতীয় সংগীত এবং বিভিন্ন ক্রীড়া বিষয়সহ ৩০ টি বিষয়ে ৯০ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার আগে বলেন, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসায় কুরআন--সূন্নাহর আলোকে বাচ্চাদের গড়ে তুলছেন এবং নবী-রাসুল, ওলী-আউলিয়ার প্রতি মহব্বত সৃস্টি করছেন ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃস্টি করছেন এবং মানুষের প্রতি দরদ বাড়াচ্ছেন।এ সব কিছু অনুসরনীয়,অনুকরনীয়।

 

 

আপনারা কমিটির সবাই যে পথের পথিক--আমিও সে পথের পথিক।এখন নবী-রাসুলের যুগ না।নবী- রাসুল চলে গেছেন।এখন ওলী-আউলিয়া, গাউস-কুতুবের যুগ।আমরা তাদের স্মরন করে,ভালোবেসে,আল্লাহ-রাসুলের কাজ করতে চাই। নাসিক মেয়র আইভী বক্তব্যের মাঝেই শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বলেন,আমার মধ্যে এতো সাহস শক্তি কোঋেকে আসে জানেন?

 

 

আমার শক্তি সাহস ও সব কিছুর উৎস পাক পান্জাতন (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। পাক পান্জাতন, আহলে বাইত এবং সকল নবী-রাসুল,গাউস-কুতুবের অনুস্মরনে কাজ করতে পারি-সে লক্ষ্য থাকতে হবে। কুরআনে যা নির্দেশ এসেছে, হাদিসে যা বলা হয়েছ--আমরা সেটা পতিপালন করেই চলতে চাই।

 

 

কারবালায় যারা মুসলমানের জন্য, মানুষের জন্য জীবন কুরবানী দিয়েছেন--সেই শহীদদের মূল এবং বেলায়েতের বাদশা হলো মাওলা আলী শের এ খোদা। মাওলা আলী এবং ওনার আওলাদদের অনুস্মরন করেই দেশের জন্য,নারায়ণগঞ্জের জন্য কাজ করে যাবো। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর